ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আরও কমতে পারে ডলারের দাম

প্রকাশনার সময়: ২৩ আগস্ট ২০২২, ০১:৩১ | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২২, ০২:৫৭

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে ধীরে ধীরে মজুতের কারসাজি হ্রাস পাওয়ায় কমতে শুরু করেছে ডলারের দাম। গত কদিনে এক্সচেঞ্জ হাউস এলাকাগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় কমেছে। একই অবস্থা খুচরা বিক্রেতাদের ক্ষেত্রেও।

ইতিমধ্যে ডলারপ্রতি প্রায় ১০ টাকা কমে এসেছে দাম। আগামী দু-একদিনের মধ্যে দাম আরও কমার আভাস এক্সচেঞ্জ হাউস ও খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের।

সোমবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউসে ১০৮ থেকে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কেনাবেচা চলছে। খুচরা পর্যায়ে ১১০ থেকে ১১১ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে কেনাবেচা হচ্ছে ডলার। দেশের তফলিসি ব্যাংকে বেচাকেনা চলছে ৯৫ থেকে ৯৬ টাকার মধ্যে। অন্যদিকে আন্তঃব্যাংকে ৯৫ টাকায় ডলার বিক্রি হচ্ছে। আন্তঃব্যাংক থেকে এ দামে অন্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কিনে থাকে।

বর্তমানে ডলার বেচাকেনার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের ২০০টি এডি শাখা রয়েছে। সম্প্রতি ২৩টি ব্যাংক নতুন ৬৬৬ শাখায় বৈদেশিক মুদ্রা (অনুমোদিত ডিলার বা এডি শাখা) লেনদেনের অনুমতি চেয়েছে। যেখানে ২৩৫টি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের অনুমতি রয়েছে। তবে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের সংখ্যা এর দ্বিগুণেরও বেশি হতে পারে। নগদ ডলার কেনাবেচার জন্য মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের ওপরই বেশি নির্ভরশীল গ্রাহকেরা। বিশেষত, প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশি পর্যটকসহ সাধারণ গ্রাহকদের এ নির্ভরতা বেশি।

এদিকে এক্সচেঞ্জ হাউস ও ব্যাংকগুলোতে ডলারের দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার বেধে দেওয়া ১০৮ থেকে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যেই ডলার বেচাকেনা করছে এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো। তবে আগের মতো ক্রেতার চাপ নেই।

মতিঝিল এলাকার ব্যবসায়ী মোহসিন জানান, ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, কিন্তু ক্রেতা বাড়ছে না। যারা আসছেন তাদের মধ্যে বিক্রেতাই বেশি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে, দু-একদিনের মধ্যে ডলারের দাম আরও কমবে।

বাজারে চাহিদা কম থাকায় ডলারের দাম আরও কমতে পারে বলে জানান একাধিক এক্সচেঞ্জ হাউজ ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সিকদার বলেন, এখন বাজারে ডলারের সরবরাহের তুলনায় ক্রেতা খুবই কম। ক্রেতা সংকটে বিক্রিও কম। আগামীকাল হয়তো বাজার আরও ডাউন (কমার সম্ভাবনা) হতে পারে। এছাড়া ব্যাংকে অনেক শাখা খোলায় গ্রাহকরা সেখানেও যাচ্ছেন।

এর আগে দেশে ডলার সংকট নিরসনে রিজার্ভ থেকে ডলার ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়ে। রিজার্ভ কমে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। অন্যদিকে ডলার কারসাজি করে দাম বাড়ানো হয় খোলাবাজারে। এ মার্কেটের সিন্ডিকেটের হাতেই ছিলো ডলারের লাগামহীন দর।

তবে এসব সমস্যা আর সংকট কাটাতে নড়েচড়ে বসেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় শুরু হয়েছে অভিযান।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ