ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কমতে শুরু করেছে ডলারের দাম

প্রকাশনার সময়: ১৪ আগস্ট ২০২২, ২০:৪৪ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২২, ২০:৪৯

বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া কিছু পদক্ষেপে দেশের খোলাবাজারে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। গত বৃহস্পতিবারের (১১ আগস্ট) তুলনায় রোববার (১৪ আগস্ট) ডলারের দাম কমেছে তিন থেকে চার টাকা।

রাজধানীর মানি চেঞ্জার ও খোলাবাজার থেকে জানা গেছে, রোববার রাজধানীর খোলাবাজারে ডলার ১১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৩ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হয়। বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছিল প্রতি ডলার ১১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৭ টাকা দরে। তবে গত বুধবার (১০ আগস্ট) খোলা বাজারে ডলার ১২০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

জামান মানি এক্সচেঞ্জ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. জামান বলেন, শনিবারের (১৩ আগস্ট) চেয়ে রোববার ডলারের দাম তিন থেকে চার টাকা কমেছে। সকাল থেকে আমরা প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় কিনে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করছি। অবৈধ ব্যবসা বন্ধ এবং সরকারের নজরদারি বাড়লে এই দাম আরো কমে আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বৃহস্পতিবার ডলার ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা করে কিনে ১১৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে রোববার সকাল থেকে ডলারের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেইনবো মানি এক্সচেঞ্জের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। আমাদের লাভ সীমিত, কমে কিনতে পারলে আমরা কমেই বিক্রি করি। সকালে আমরা মার্কিন ডলার ১১৪ টাকায় বিক্রি করলেও দুপুরের পর ১১৩ টাকা করে বিক্রি করেছি। তবে দাম আরও কমে আসবে।

পল্টন এলাকায় খুচরামূল্যে ডলার বিক্রি করেন মোজাম্মেল হোসেন। তিনি বলেন, এখানে ডলার বিক্রি নেই তেমন। ক্রেতা সংকট। দামও কমে গেছে অনেক। ডলারের সরবরাহ বেশি। তবে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের সংকট রয়েছে এখনো।

ফকিরাপুলের ব্যবসায়ী আনাস বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সামনে কড়া নজরদারি করছেন। পুলিশ-র্যাবও ডলার কেনাবেচায় জড়িতদের ওপর কঠোর নজর রাখছে। এ কারণে খুচরা বিক্রেতারা আগের মতো ডলার বিক্রি করতে পারছেন না। এখন বাজারে ডলারের সরবরাহ আগের চেয়ে একটু বেড়েছে। দাম কম হওয়ার এটাও একটা কারণ।

ডলারের সংকট কমাতে ও দাম সামলাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া নানামুখী পদক্ষেপের মধ্যে বিলাসী পণ্যসহ সার্বিক আমদানিতে নানা শর্ত আরোপের সুফল আসতে শুরু করেছে বাজারে। কমেছে আমদানির এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খোলার পরিমাণ, এতে চাপ কমেছে ডলারের বাজারে, ফিরতে শুরু করেছে টাকার মান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, আগস্ট মাসের ১১ দিনে দেশে মোট ১৬১ কোটি ডলারের সমপরিমাণ মূল্যের আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে, যা জুলাই মাসের তুলনায় ৯৪ কোটি ডলার বা ৩৬ শতাংশ কম। জুলাই মাসে আমদানি হয়েছিল ২৫৫ কোটি ডলার।

এদিকে গত মাস থেকেই বাড়তে শুরু করেছে আগত রেমিট্যান্সের পরিমাণ। ধারণা করা হচ্ছে, এভাবে রেমিট্যান্সের ধারা অব্যাহত থাকলে ধীরে ধীরে সংকটকালীন অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সবশেষ হিসাব অনুযায়ী (১২ আগস্ট পর্যন্ত), বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ৩৯ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ