বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বেলা ১১টায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘দ্বিতীয় চা দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক-দুমাস আমরা রিঅ্যাসেস করবো। ৫-৭ দিনের মধ্যে মে মাসের পুরো তথ্য নিয়ে রিভিউ করবো। আমাদের কাছে যেটা রিপোর্ট আছে, আজকে দাম কমেছে। আজকের দামের প্রভাব দেশের বাজারে ফেলতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় মাস।
তিনি বলেন, সুখবর যেটা পাম অয়েলের দাম কমেছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সয়াবিনের দামও কমার দিকে। ৬-৭ দিনের মধ্যে যে সভা হবে, সেখানে অ্যাসেস করে দেখে নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে। আমরা ধারণা, বাড়ার সম্ভাবনা নেই। নতুন দাম অনুযায়ী দামটা কমবে। পাম অয়েলে তো যথেষ্ট প্রভাব পড়বে বলে মনে করি।
চালের দামের বিষয়ে তিনি বলেন, মূলত চাল কনট্রোল করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে আমাদের সাহায্য চাইলে, সাহায্য করবো। যতটুকু জেনেছি, খাদ্য মন্ত্রণালয় আটটি টিম কাজ করেছে। এসব টিম ইতোমধ্যে বেরিয়ে পড়েছে, জানার জন্য এবং কতটুকু স্টক আছে, তা বের করার চেষ্টা করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে তিন কোটি মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে। আমি কখনই বলিনি ১৭ কোটি মানুষের পয়সা বেশি হয়েছে। রিয়েলিটি (বাস্তবতা) হলো- দেশের ২০ ভাগ মানুষের লো ইনকাম (নিম্নআয়), সেটাকে মাথায় রাখতে হবে।
টিপু মুনশি বলেন, ১৭ কোটি থেকে তিন কোটি বাদ দিলে যে ১৪ কোটি থাকে, তাদের মধ্যে সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড (পশ্চিমা বিশ্ব) ইউরোপের মতো। দরিদ্র শ্রেণির তিন কোটি মানুষকে অ্যাডজাস্ট করা দরকার, সেটার চেষ্টাই করে যাচ্ছি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, সেটা আপনারাও জানেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেখা দরকার সাধারণ মানুষ সঠিক দামে পণ্য কিনতে পারছেন কি না। ক্রয়ক্ষমতাও দুটি দিক রয়েছে, একটি হলো- যারা উৎপাদনকারী ও যারা ভোক্তা। যদি এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাই যে, উৎপাদনকারী আর ইন্টারেস্ট পাচ্ছে না। তাহলে কিন্তু প্রভাব পড়বে।
এদিকে গত এক বছর ধরে দেশে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা চলছে। ঈদের পরদিন গত ৫ মে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা নির্ধারণের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় এক লাফে তেলের দাম ৪০ টাকা লিটারে বেড়ে যায়। প্রতি লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দাম ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সে সময় ১৯৮ টাকা করা হয়। ৫ লিটারের বোতলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৯৮৫ টাকা। আর পরিশোধিত পাম সুপার তেলের প্রতি লিটারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ঠিক করে দেওয়া হয় ১৭২ টাকা, যা আগে ছিল ১৩০ টাকা।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ