রাজধানীর খোলাবাজারে মঙ্গলবার (১৭ মে) শতক হাঁকিয়েছে মার্কিন ডলার। এদিন ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মানি এক্সচেঞ্জে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। মতিঝিলের পাশাপাশি পল্টন ও গুলশানের মানি এক্সচেঞ্জে প্রতি ডলার ১০১ থেকে ১০২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
মতিঝিলের খোলাবাজারের ডলার ব্যবসায়ী মো. কাসেম জানান, আজ বাজারে ডলার নেই বললেই চলে। আজ প্রতি ডলার ১০১ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে।
গুলশানের মেট্রো মানি এক্সচেঞ্জের স্বত্বাধিকারী শাহজাহান মিয়া বলেন, সকালে ১০২ টাকায় বিক্রি হয়েছে ডলার। সর্বশেষ বিকেল ৫টায় দর ছিল ১০১ টাকা ৩০ পয়সা। আমরা গ্রাহক থেকে ১০০ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কিনছি। পুরো বাজারে ডলারের চাহিদা বেশি, আমরা কম কম আনতে পারছি, তাই হঠাৎ দাম বেড়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছেও এ ধরনের অভিযোগ এসেছে। তবে আমাদের রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি বেশি, এ কারণে ডলারের ওপর চাপ পড়েছে। ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার সরবরাহ করছে। এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর চাহিদার বিপরীতে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করা হয়েছে। যখনই প্রয়োজন আরও ডলার সরবরাহ করা হবে।
এদিকে চাহিদা বৃদ্ধি ও সংকটের কারণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমায়। প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। সোমবার বড় দরপতন হয়। এক দিনেই আমেরিকান ডলারের বিপরীতে ৮০ পয়সা দর হারায় টাকা। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক দিনে টাকার এত বড় দরপতন হয়নি।
আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে সোমবার ১ ডলারের জন্য ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা খরচ করতে হয়। মঙ্গলবারও এই একই দামে বাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথমদিকে ডলারের বিনিময় মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ২৩ মার্চ তা আররও ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল বিনিময় মূল্য ২৫ পয়সা বাড়ানোর ফলে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সায়। সর্বশেষ ৯ মে ডলারের বিনিময় মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ