ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মূল ব্যবসায় মুনাফা পুঁজিবাজারে লোকসান

প্রকাশনার সময়: ২৫ এপ্রিল ২০২২, ১১:৫০

বেসরকারি ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান ব্যাংক এশিয়া গত হিসাব বছর ২০২১ সালে মূল ব্যবসায় মুনাফা করেছে। কিন্তু ২০২১ সালে দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান মুনাফা করলেও ব্যাংকটি ১৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা মোট বিনিয়োগের ১৭ শতাংশ আনরিয়েলাইজড লোকসান করেছে। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকৃত প্রায় সব কোম্পানিতে লোকসানে রয়েছে ব্যাংকটি। ব্যাংকটির ২০২১ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে করে বলছেন, দেশের পুঁজিবাজারে ২০২১ সালে লোকসান করেছে এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও ব্যাংকের মতো একটি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের প্রায় সব কোম্পানিতেই লোকসানে থাকাটা অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে তাদের। কারণ ব্যাংকটি কিছুটা লোকসান করেনি, ব্যাংকটির বিনিয়োগের ১৭ শতাংশ লোকসান হয়েছে।

ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ব্যাংক এশিয়া থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৮ কোম্পানিতে ১০৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে ৫টি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটে। ৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে ১৩ কোম্পানির শেয়ারে। ব্যাংক এশিয়ার পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকৃত ১৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৭টির বা ৯৪ শতাংশ কোম্পানির দর বিনিয়োগ মূল্যের (কেনা দামের) চেয়ে কমে অবস্থান করছে। শুধু একমি ল্যাবরেটরিজ শেয়ারে ব্যাংক এশিয়া আনরিয়েলাইজড মুনাফায় রয়েছে। ব্যাংক এশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের ইউনিটে। এ কোম্পানিটিতে ২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এরপরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ডে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১ কোটি ৯২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ডে। ব্যাংকটির বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকৃত ১০৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার বাজার দর গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে দাঁড়িয়েছে ৮৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। অর্থাৎ ব্যাংকটি ১৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বা ১৭ শতাংশ আনরিয়েলাইজড লোকসানে রয়েছে। এর মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ডে এই লোকসানের পরিমাণ ৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। বাকি ৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার লোকসান ১৩ কোম্পানির শেয়ারে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে মন্দাবস্থায় থাকলেও ব্যাংকটির মূল ব্যবসার ওপর ভিত্তি করে আগের বছরের ২০২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার নিট মুনাফা বেড়ে ২০২১ সালে হয়েছে ২৭২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের বছরের শেয়ারপ্রতি ১.৭৪ টাকার মুনাফা বেড়ে হয়েছে ২.৩৪ টাকা। ব্যাংকটির সমন্বিতভাবে আগের বছরে নিট সুদজনিত আয় ৩১৯ কোটি ৯ লাখ টাকা হলেও ২০২১ সালে বেড়ে হয়েছে ৫৬৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের ডিপোজিট ও গৃহীত ঋণের বিপরীতে সুদজনিত ব্যয় কমে আসায় এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি। এ বিষয়ে জানতে ব্যাংকটির সচিব এসএম আনিসুজ্জামানকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ