ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

১০০ কোটির ফান্ডেও ফেরেনি গতি

প্রকাশনার সময়: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০৯:২১

পুঁজিবাজারের চলমান মন্দাবস্থা দূরীকরণে গত ৮ মার্চ ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) থেকে ১০০ কোটি টাকা দ্রুত বিনিয়োগের নির্দেশ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিন্তু সেই টাকা বিনিয়োগেও গতি ফেরেনি দেশের পুঁজিবাজারের। এ বিষয়ে কয়েক লাখ কোটি টাকার পুঁজিবাজারে ওই ১০০ কোটির ইতিবাচক প্রভাব পড়া নিয়ে শুরুতেই সংশ্লিষ্টদের মধ্যে শঙ্কা ছিল।

বাজারের পতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানা উদ্যোগ থাকলেও কোনো ফল তো আসছেই না, বরং একদল কারসাজিকারী চক্র প্রতিনিয়ত গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কারসাজি চক্র ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার প্রত্যাহার করার বিষয়ে একটি গুজব ছড়িয়েছে; কিন্ত বিষয়টিকে গুজব এবং এ বিষয়ে কান না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তথ্য মতে— পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় বিএসইসির নির্দেশে দেশের সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবির মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে বলে সিএমএসএফ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। যা তারল্য প্রবাহ নিশ্চিত করতেই এই অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু এই বিনিয়োগের পরেও পুঁজিবাজারে পতন কমেনি। বরং বিনিয়োগের ঘোষণায় পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়লেও বিনিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে ডিএসইএক্স মূল্যসূচকটি কমছে। লেনদেনের পরিমাণ এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে সিএমএসএফ থেকে মঙ্গলবার আরো ১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর সিএমএসএফ থেকে ১০০ কোটি টাকা টিডিআর রূপে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশে (আইসিবি) বিনিয়োগে সম্মতি জানিয়ে চিঠি দেয় বিএসইসি।

সিকিউরিটিজের দর কমার ২ শতাংশ সর্বোচ্চ সীমা বা সার্কিট ব্রেকার প্রত্যাহারের গুজব ছড়িয়ে কম দামে বিনিয়োগের চেষ্টা করছে একটি চক্র। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে কোন চিন্তা-ভাবনা করছে না। তাই ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার প্রত্যাহারের গুজবে কান দিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। গত ৮ মার্চ পুঁজিবাজারে চলমান নেতিবাচক পরিস্থিতিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সিকিউরিটিজ দর কমার সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ বেঁধে দেয় বিএসইসি। এতে করে একটি কোম্পানির সিকিউরিটিজ দর আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইসের ওপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ দর কমতে পারে।

কিন্তু বিনিয়োগকারীদের একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার প্রত্যাহার করে ১০ শতাংশ আরোপ করা হবে বলে বাজারে গুজব ছড়িয়েছে। এর আগেও এক দফায় এমন গুজব ছড়িয়েছিল। যার কোন ভিত্তি ছিল না। একটি পক্ষ গুজব ছড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে বিক্রি চাপ বাড়াতে চায়। যাতে করে শেয়ারের দাম কমে যাবে। আর তারা কম দামে শেয়ার কিনে নেবে।

জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, এই মুহূর্তে দর কমার ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার তুলে নেয়ার কোন চিন্তা-ভাবনা কমিশনের নেই। কেউ হয়তো ব্যক্তিগত স্বার্থে বাজারে গুজব ছড়িয়েছে। বাজারের যথন উন্নতি হবে, তখন ধাপে ধাপে ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকারকে ১০ শতাংশে নেয়া হবে। তাই এই মুহূর্তে ২ শতাংশ সার্কিট প্রত্যাহার নিয়ে সৃষ্ট গুজবে বিনিয়োগকারীদের কান না দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ