দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ১৬টি সুপারিশ করেছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্কফোর্স। এ নিয়ে টাস্কফোর্স কমিটির প্রথম সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে’।
সোমবার (৪ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সভায় এফবিসিসিআই, টাস্কফোর্সের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, টিসিবি’র চেয়ারম্যান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি, বিভিন্ন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। এ কারণে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এছাড়া ভ্যাট কমানোর ফলে দামের ওপর প্রভাব পড়েছে। গতকাল বাজারে সরেজমিনে গিয়ে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। সয়াবিন তেল এখন প্রতি লিটার ১৬০-১৬৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ভ্যাট প্রত্যাহারের পর প্রচুর পরিমাণ তেল আমদানি করা হয়ছে। সবশেষ গত ২৬ মার্চ পর্যন্ত ৭০ হাজার টন তেল মজুদ রয়েছে। তারপরও কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে আমরা সেটা নির্ধারণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কাজে কোনো জায়গায় বাধাগ্রস্ত হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েকটি গ্রুপের বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এসব কিছুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় চাঁদাবাজীর প্রমাণ মিলেছে। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চাঁদাবাজী পণ্যের দাম বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ। সম্প্রতি আমার নির্বাচনী এলাকার একটি বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে যে বেগুন ১০ টাকা কেজি তা ঢাকায় ৫০/৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এটা কেন হচ্ছে? এর পেছনে যে কারণ তা বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ