ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চার প্রতিষ্ঠানকে ৮৬৬ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন

প্রকাশনার সময়: ০২ মার্চ ২০২২, ১১:৩৭

৮৬৬ কোটি টাকা সংগ্রহে চার প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্যাংক এশিয়া ও ন্যাশনাল পলিমারের ৮০০ কোটি টাকার বন্ড, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৫০ কোটি টাকার ফান্ড এবং ১৬ কোটি টাকা সংগ্রহের মাধ্যমে বাজারে তালিকাভুক্তির জন্য মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসির ৮১৩তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক এশিয়া কুপন বিয়ারিং কন্ডিশনাল কনর্ভাটেবল পার্পেচ্যুয়াল বন্ড ইস্যু করে ৫০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এই টাকার মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টে এবং অবশিষ্ট ৫০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। বন্ডটির প্রতি অভিহিত মূল্য পাঁচ হাজার টাকা। বন্ডটির কুপন হার ৬ থেকে ১০ শতাংশ— যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, ট্রাস্ট, সংগঠন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে ইস্যু করা হবে। ইই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ব্যাংক এশিয়ার অতিরিক্ত টায়ার-ও মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে। প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও প্রাইভেট অভারের ক্ষেত্রে এই বন্ডের ন্যূনতম সাবস্ক্রিপশন যথাক্রমে এক কোটি টাকা ও পাঁচ হাজার টাকা। উক্ত বন্ডের ট্রাস্টি হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, বন্ডটির ইস্যু ম্যানেজার ও অ্যারেঞ্জার হিসাবে কাজ করছে যথাক্রমে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। আন্ডাররাইটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রান্সফারেবল, নন-কনর্ভাটেবল, আনসিকিউরড জিরো কুপন বন্ডইস্যু করে ৩০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এই বন্ডের অভিহিত মূল্য ৪০৮.৯৫ কোটি টাকা। বন্ডটির ইউনিটপ্রতি ইস্যু মূল্য এক হাজার টাকা। বন্ডটির ৩০০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করবে। ওই বন্ডের ইয়েল্ড টু ম্যাচিউরিটি ৮ শতাংশ। এই বন্ডের মাধ্যমে ন্যাশনাল পলিমার ঋণ পুনঃঅর্থায়ন সম্পন্ন করার পর মূলধনী যন্ত্রপাতি ও বিল্ডি এবং অবকাঠামো নির্মাণ করবে। এই বন্ডের ন্যূনতম সাবস্ক্রিপশন তিন হাজার টাকা। ওই বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড এবং অ্যারেঞ্জার ও অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করছে রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেড। ওই বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড এ তালিকাভুক্ত হবে। উল্লেখ্য, কোম্পানি পরিচালকদের ব্যক্তিগত নিশ্চয়তা প্রদানের শর্তে কমিশন কর্তৃক জিরো কুপন বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বে-মেয়াদি ‘মার্কেন্টাইল ব্যাংক ইউনিট ফান্ড’-এর খসড়া প্রসপেক্টাস অনুমোদন করেছে কমিশন। ফান্ডটির প্রাথমিক লক্ষমাত্রা হচ্ছে ৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তা মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৫ কোটি টাকা প্রদান করেছে এবং বাকি টাকা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা।

ওই ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক হলো এমবিএল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ফান্ডের ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান হিসেবে কাজ করছে যথাক্রমে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।

মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন করেছে। মেঘনা ইন্স্যুরেন্স প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৬ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু), রুলস, ২০১৫ এর রুল ৩(২)(ঢ়) থেকে অব্যাহতি দিয়ে এই অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, সরকারি ডিপোজিট ক্রয়, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটি ২০২১ সালের ৩১ মার্চ অনুযায়ী নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) দাঁড়িয়েছে (পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া) ১৬.৪১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে (ইপিএস) ১.৮৩ টাকা ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত তিন মাসের) এবং বিগত পাঁচ বছরের গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৫৬ টাকা। আইপিওতে কোম্পানিটি ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এ ছাড়া উল্লেখ্য যে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পূর্বে কোম্পানিটি কোনো প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ