ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দ্রব্যমূল্যে ত্রিশঙ্কু অবস্থা

প্রকাশনার সময়: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:২৪

নিত্যপণ্যের বাজার যেন মগের মুল্লুক। রোজা শুরুর আগেই পাল্লা দিয়ে বাড়ানো হচ্ছে জিনিসপত্রের দাম। দাম বাড়েনি, বাজারে এমন পণ্য খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ভোক্তাদের কণ্ঠে হতাশা। সরকারি হিসাবেও মিলছে বাড়তি দামের নজির। বিক্রেতাদের শঙ্কা, এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে রোজার মাসে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে অরাজক পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে সরকার।

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামে এখন মানুষের চোখে সরষেফুল দেখার মতো অবস্থা। দিন দিন বাড়ছে দ্রব্যমূল্য, বাড়ছে না উপার্জন। সাধারণ আয় বা মধ্যবিত্তের জন্য জীবনযাপন প্রচলিত ছন্দে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তার মানে উচ্চমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সবার অবনমন হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্তরাসহ সকলে আছে ত্রিশঙ্কু অবস্থায়। তাদের বোবাকান্না যেন কোনোভাবেই পৌঁছাচ্ছে না সংশ্লিষ্টদের কর্ণগহরে। শামসুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। আর তাই মধ্যবিত্তরা ক্রমশই তার অবস্থান থেকে নেমে যাচ্ছে। সংসার চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আমরা যারা সাধারণ মানুষ তারা হিমশিম খাচ্ছি। সবকিছুর দাম এভাবে বাড়তে থাকলে চলার উপায় থাকবে না। কিছুটা কম দামে জিনিস কেনার আশায় নিউমার্কেটে এসেছিলাম। এখানেও দেখি একই অবস্থা। পাইকারি, খুচরা সবখানেই প্রায় একই রকম দাম।

জানা গেছে, এক দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ডিম ডজনে বেড়েছে পাঁচ টাকা। দুই দিনে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা আর এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা ২৫ টাকা এবং মাছ, মাংস, চাল, ডাল, তেল, সবজিসহ সব কিছুরই দাম বাড়তি। তাই মুদি পণ্যের দোকানে ক্রেতার আনাগোনা কম। যারা আসছেন, ছোট হয়েছে তাদের কেনাকাটার ফর্দ। কারওয়ান বাজারে প্রায় ৮শ’ টাকা গুনতে হচ্ছে সয়াবিন তেলের ৫ লিটারের বোতলে। পরিমাণে কম কিনলে দাম আরো বেশি।

টিসিবির হিসাবে, গত এক বছরে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। ৭৫ টাকায় থমকে আছে সাদা চিনির কেজি। ১২ মাসে এই পণ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ২৩ ভাগ। ১১০ টাকা ছুঁইছুঁই মসুর ডালের দাম। তবে স্থিতিশীল ছোলার দর।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের তথ্য, দেশে এক বছরে বছরে দরকার হয় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেল। গত ৭ মাসে আমদানি হয়েছে ৯ লাখ টনের কাছাকাছি। ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ ছোলা এসেছে বার্ষিক চাহিদার অর্ধেক। ১৩ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে চিনি আনা হয়েছে ৭ লাখ টনের বেশি। অর্থাৎ রমজানের আগে একাধিক পণ্যের মজুদ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি আছে। তাছাড়া বন্দর দিয়ে রমজানে দরকারি বেশিরভাগ পণ্য মার্চের মাঝামাঝি সময়ে এসে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, ‘তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে। তাই দেশের বাজারেও বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা উঠেছিল। সেটা এখন ২৫ টাকা কেজি হয়েছে। পণ্যের দাম যে কমছে না তা কিন্তু নয়।’ টিপু মুনশি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে যে জিনিসের দাম বাড়ে, দেশের বাজারে সেটার প্রভাব পড়ে। ফ্রি মার্কেট ইকোনমিতে এমনটা হবেই। জনসাধারণের কাছে টিসিবি ও ওএমএসের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যাতে সহজে পৌঁছানো যায়, আমরা সেই চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণের চেষ্টা করছি আমরা। সেখানকার মার্কেট প্রাইসের ওপর নির্ভর করে আমরা রিঅ্যাডজাস্ট করব। আশা করি, রমজানের সময় ১ কোটি পরিবার সহযোগিতা পাবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন রমজানে টিসিবি এবং ওএমএস-এর মাধ্যমে ১ কোটি পরিবারকে সহযোগিতা দেয়া হবে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ৫০ লাখ মানুষকে সুবিধা দেয়া। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ১ কোটি পরিবারকে এই সুবিধার আওতায় আনা হবে।’

ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। কোনো কিছুই নিম্নবিত্তের নাগালে নেই। মাছ, মাংস, চাল, ডাল, তেল, সবজি, পেঁয়াজসহ সব কিছুরই দাম বাড়তি।

পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, তিন দিন আগে কেজি ৩৫ টাকা করে কিনে বিক্রি করেছেন ৪০ টাকায়। সেই পেঁয়াজ বুধবার থেকে কিনতে হচ্ছে ৪৫ টাকায় তাই বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও হচ্ছে বেশি দামে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী গৌতম বলেন, বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এ কারণে এখন পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই। কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা বদর আলী বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজের কেজি কিনেছি ৩০ টাকা। আজ ৫০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। আবার তা মহল্লার দোকানে ৬০ টাকা। এক লাফে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়ে গেছে। শুধু পেঁয়াজ না, বাজারে এখন সব কিছুর দাম অস্বাভাবিক। চাল, তেল, চিনি, ডাল কিনতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠছে। তার মতে, এখনই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তৎপর না হলে রোজার মাসে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে অরাজক পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে সরকার। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষ খুব কষ্টে আছেন। কিন্তু আমাদের এ কষ্ট দেখার মতো কেউ নেই। বাজারে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

খিলগাঁওয়ে ৬০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা আল আমিন বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়া দেখে আমরাও অবাক। দুই দিনে দুই দফায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৫ টাকা বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে আমরা এক কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা বিক্রি করেছি। পাইকারিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন সেই পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।

টিসিবি বাজারদর বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়: মোটা চালের দাম ১৫, মোটা দানার মসুর ডাল ৭৭, খোলা সয়াবিন তেল ৫৪, চিনি ৪৯ ও আটার দাম ২১ শতাংশ বেড়েছে। মধ্যম আয়ের পাঁচজনের একটি পরিবারে গড়ে ৫ লিটার সয়াবিন তেল লাগে। টিসিবির হিসাবে, ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পাঁচ লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৪৬৫ থেকে ৫১০ টাকা, এখন সেটি ৭৪০ থেকে ৭৮০ টাকা। শুধু সয়াবিন তেল কিনতে একটি পরিবারের ব্যয় বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। কাঁচাবাজারে মাছ, মাংস ও সবজির দাম নিয়মিত ওঠা-নামা করে। তবে বিগত এক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, ফার্মে উৎপাদিত মুরগির দাম বছরজুড়েই বেশি থাকছে। যেমন ব্রয়লার মুরগির দাম এখন বছরের বেশির ভাগ সময় প্রতি কেজি ১৫০ টাকার বেশি থাকে। করোনার আগেও এই দর ১৩০ টাকার আশপাশে থাকত। বিক্রেতাদের দাবি, মুরগির বাচ্চা, খাবারের দাম ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে। তাই আর আগের দামে ফেরার আশা কম।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ১৮টি সবজির দাম বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে, ২০২০ সালে সবজির দাম গড়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের হিসাবটি তারা এখনো তৈরি করেননি। ক্যাবের কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ বাজার ঘুরে নিয়মিত দামের তথ্য সংগ্রহ করেন। তিনি বলেন, প্রতিবছর ভরা শীত মৌসুমে সবজির দাম যতটা কমে, এ বছর ততটা কমেনি। রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে ফইন্নিবাজার, সবখানেই জিনিসপত্রের দাম নিয়ে মানুষের হতাশা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ক্রেতার নাভিশ্বাস কথাটা সবার কাছে পরিচিত ছিল এতদিন, এখন বিক্রেতারাও বলছেন নাভিশ্বাস উঠে গেছে তাদের। ৩ বেলা খাবারের জন্য দরকারি এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম গত ২ সপ্তাহে কমেছে। দাম বেড়েছে সাবান, শ্যাম্পুসহ প্রায় সব ধরনের প্রসাধন সামগ্রীরও।

ইতোমধ্যেই পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান স্বীকার করেছেন, দারুণ কষ্টে আছেন মানুষ। গত ৩ মাস ধরে পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেয়া তথ্য বলছে- মূল্যস্ফীতির গ্রাফ ওপরের দিকেই ছুটেছে। কাঁচাবাজারের দোকানিরা হতাশার চিত্র আরো উসকে দিচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে শাক সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও চড়া সবজির বাজার। সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়, করলা ১০০, টমেটো ৫০, শিম ৫০ থেকে ৬০, বাঁধাকপি ৪০, মাঝারি আকারের লাউ ৮০ ও বড় আকারের ১০০, ফুলকপি ছোট ৪০ থেকে ৫০, চালকুমড়া প্রতিটি ৬০, লেবুর হালি ৪০। এ ছাড়া প্রতি কেজি বেগুন ৭০ থেকে ৮০, ক্ষীরা ৬০, মটরশুঁটি ৮০, কাঁচামরিচ ১০০, গাজর ৪০ ও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। গত এক সপ্তাহ ধরে মাছের দামও বাড়তি। প্রতি কেজি মাছের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।

আবার প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, মাঝারি রুই মাছ ২৫০-২৭০, ছোট কাতল মাছ ২৫০-৩০০, বড় কাতল ৪০০, বড় পাঙ্গাশ মাছ ২৮০-৩০০, আকার ভেদে ইলিশ মাছ ৭০০-১২০০, সিলভার কার্প ২০০, বোয়াল ৫০০, কালিবাউশ ৩৫০, ফলি ৪৫০, আইর ৬০০, বড় কৈ ৬০০, বেলে ৪৫০, শিং ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট মাছের মধ্যে চিংড়ি ৩০০ টাকা, কাচকি ৪৫০, মলা ৩০০, টাটকিনি ২৫০, পাবদা ৫০০-৬০০, গলদা চিংড়ি আকার ভেদে ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে বড় সুরমা মাছ ৩০০ টাকা, রূপচাঁদা ৬০০-৮০০, লাল কোরাল ৫০০-৬০০ ও বাটা মাছ ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মাছ বাজার কিছুটা চড়া জানিয়ে শাহ আলম নামের মাছ বিক্রেতা বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত মাছের সরবরাহ থাকার পরও খাবারের দাম ও জ্বালানি খরচ বেশি হওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। শুধুন হোটেলগুলোতেই বড় মাছ বিক্রি হচ্ছে। খুব কম সংখ্যক সাধারণ মানুষই বড় মাছ কিনছে। অতিরিক্ত দাম নিয়ে আমাদেরও কিছু বলার নেই।

অপরদিকে, মুদি পণ্যের মধ্যে মুগডাল ১২৫ টাকা, বুটের ডাল ৮০, অ্যাঙ্কর ডাল ৪৫, মসুর ডাল ১১৫, ছোলা ৭৫ টাকা, খোলা চিনিগুড়া চাল ৯০-১০০ টাকা, মিনিকেট চাল ৫৫, নাজিরশাইল ৭০ টাকা, চিনি ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। স্বস্তি নেই আমিষের সহজলভ্য উপাদান মুরগির বাজারেও। কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগি ২৬৫-২৭০ টাকা, সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকায়। তাছাড়া গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।

এদিকে, মূল্যস্ফীতির চাপ সাধারণ মানুষের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে তার আরো স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায় বিবিএস এর জাতীয় মজুরি সূচক থেকে। বিবিএস বলছে, জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ৫.৯২ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি। কাজেই ধার-কর্জ কিংবা সঞ্চয়ে হাত দিতে হচ্ছে কম আয়ের মানুষকে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সরকার বিষয়টিকে হালকা এবং উন্নয়নের সূচক হিসেবে দেখলে দেশে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নের ছবি স্থির চিত্র হয়ে ঝুলতে থাকবে মরা সভ্যতার নোনা দেয়ালে।

নয়া শতাব্দী/এস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ