বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, ‘দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সার্বিক অর্থনীতি দ্রত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিকনির্দেশনা ও সিদ্ধান্তের সুবাদে করোনা পরিস্থিতিতেও দেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতি সচল রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন যে পাকিস্তানের অধীনে থেকে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির উন্নতি সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অর্থনৈতিক মুক্তি পাচ্ছে। অনেক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে নতুন ক্যাম্পাসে এবারের বাণিজ্য মেলা খুবই সফল হয়েছে।’
সোমবার মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে মেলা বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এমন আহসান স্বাগত বক্তব্য দেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশের রপ্তানি বাড়াতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এ বছর ৫১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি অর্জন সম্ভব হবে। আগামী ২০২৪ সালে দেশের রপ্তানি ৮০ বিলিয়ন ডলার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি আমরা। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তখন এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে এতোদিন পেয়ে আসা আমাদের অনেক বাণিজ্য সুবিধাই থাকবে না। আমাদের প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে হবে। তখন পিটিএ অথবা এফটিএ স্বাক্ষর করে বাণিজ্য সুবিধা নিতে হবে। চলতি বছর আমরা চারটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় এবার ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার মূল্যের রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে। দেশীয় মুদ্রায় তা দাঁড়ায় ১৩৭ কোটি টাকা। এছাড়া মাসব্যাপী এই আয়োজনে পণ্য বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকার।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন হয়নি। তার আগের বছর ২০২০ সালে আয়োজিত মেলায় রপ্তানি আদেশ পাওয়া গিয়েছিল ২শ’ কোটি টাকার। সে হিসেবে এবার রপ্তানি আদেশ ৬৩ কোটি টাকা কম হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মেলায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১২ ক্যাটাগরিতে ৪২ জন্য অংশগ্রহণকারী, বিভিন্ন দপ্তরের ১০ জন কর্মকর্তা ও ২৭ সংস্থাকে পদক দেয়া হয়েছে।
স্থায়ী ভেন্যু হিসেবে রাজধানীর পূর্বাচলে এবারই প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২। ২৬তম এই আয়োজনের শেষ দিন ছিল সোমবার। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ