সদস্য ৭৪টি দেশের জন্য ৯৩ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক। এ অর্থ দেশগুলোকে করোনা পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাংকের হেড অফিস ওয়াশিংটন এ প্যাকেজের অনুমোদন দেওয়া হয়। হেড অফিস থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭৪টি স্বল্পআয়ের দেশের জন্য ৯ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থসহায়তা বরাদ্দ ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক। এটি সংস্থাটির আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) পক্ষ থেকে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। বিশ্বব্যাংকের এ বরাদ্দ তহবিলের মধ্যে ২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার দিচ্ছে উচ্চ ও মধ্যম আয়ের ৪৮টি দেশ। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পুঁজিবাজার ও বিশ্বব্যাংকের তহবিল থেকে এ অর্থ পাওয়া যাবে।
বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, এ তহবিল দেশগুলোকে মহামারি, আর্থিক ধাক্কা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে সহায়তা করবে। বিশ্বজুড়ে ৭৪টি দেশ এ অর্থসহায়তা পেলেও এর প্রায় ৭০ শতাংশই আফ্রিকা মহাদেশে যাবে। দক্ষিণ এশিয়ায় আইডিএ’র এ তহবিল পাওয়ার যোগ্য দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। আইডিএ’র ঋণের শর্ত খুবই রেয়াতযোগ্য। যার মানে ধারের এ অর্থে সুদ অত্যন্ত কম বা পুরোপুরি শূন্য থাকে। আর সেই শর্তগুলো নির্ধারিত হয় প্রাপক দেশগুলোর ঋণ সংকটের ঝুঁকি, মাথাপিছু আয় এবং ঋণ পাওয়ার যোগ্যতার পরিপ্রেক্ষিতে। এক্ষেত্রে ‘ব্লেন্ড ক্রেডিট’ শর্তে আইডিএ থেকে অর্থ পাবে বাংলাদেশ। আইডিএ তহবিল সাধারণত তিন বছর পরপর সম্পূর্ণ করা হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে সবশেষ অর্থায়ন এক বছর এগিয়ে নেওয়া হয়েছিল, যা ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত চলবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস বলেছেন, কোভিড-১৯ সংকট থেকে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা করতে আমাদের অংশীদারদের এ উদ্যোগটি দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। করোনা পরবর্তী সময়ে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বিশ্বজুড়ে দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করতে আইডিএ’র ওপর অংশীদাররা আস্থা রাখায় আমরা কৃতজ্ঞ।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ