ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শীতে সবজির বাজার গরম

প্রকাশনার সময়: ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৫০ | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:০০

কয়েক মাস ধরে বাজারে প্রতিটি সবজি বিক্রি হয়েছে চড়া দামে। নতুন সবজির বাজারে আসার পর দাম কমবে এমন আভাস দিয়েছিলেন বিক্রেতারা। কিন্তু খুব বেশি কমেনি সবজির দাম। শীত পড়তে শুরু করলেও এখনও বেশিরভাগ সবজির দাম আগের মতোই রয়ে গেছে। তবে কয়েক মাস ধরে যেমন চড়া দামে সবজি বিক্রি হয়েছে তার চেয়ে কিছুটা কমেছে সবজির দাম।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখে গেছে, আগের চেয়ে সবজির দাম কিছুটা কমলেও এখনও চড়া সবজির বাজার।

বাজারে সিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে, গাঁজর ৮০ টাকায়, করলা ৬০ টাকায়, বাঁধা কপি ৪০ টাকায় (প্রতি পিস মাঝারি), ফুলকপি ৫০ টাকায় (প্রতি পিস মাঝারি), মূলা ৪০ টাকায়, নতুন আলু ৮০ টাকায়, সাধারণ আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, বরবটি ৬০ টাকায়, বেগুন ৫০ টাকায়, টমেটো ১৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ৬০ টাকায়, শসা ৪০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকায়, শালগম ৬০ টাকায়, পটল ৬০ টাকায়, পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় এবং ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়।

রাজধানীর রামপুরা বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, শীত প্রায় চলে এসেছে তবু বাজারে সবজির দাম কমেনি। দুই-একটা ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম এখনও ৫০ টাকার বেশি। অন্য বছরগুলোতে এ সময় সবজির দাম বলতে গেলে প্রায় অর্ধেক ছিল। গত পাঁচ/ছয় মাস ধরে অতিরিক্ত দামে সবজি কিনতে হচ্ছে আমাদের। সবাই বলেছিল শীত পড়তে শুরু করলে এবং নতুন সবজি উঠলেই দাম কমে যাবে। কিন্তু এখনও চড়া দামেই সবজি বিক্রি হচ্ছে। আগের চেয়ে কিছুটা দাম কমেছে এ কথা ঠিক, তবে তা খুব বেশি কমেনি। অন্য বছরের তুলনায় এখনও বেশি দামেই সবজি বিক্রি হচ্ছে বাজারে।

একই অভিযোগ করলেন মধ্যবাড্ডায় বাজার করতে আসা গার্মেন্টস কর্মী সজিবুর রহমান। তিনি বলেন, শীতের সবজি ফুলকপির পিস এখনও ৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। পটল, বরবটি, ঢেঁড়স এখনও ৬০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। তাহলে সবজির দাম কমল কোথায়? শীতের সময় শুরু হয়ে গেছে। এ সময় সবজি অর্ধেক দামে বিক্রি হওয়ার কথা। তবুও দাম চড়া। অন্যবার এ সময় এসে ঠিকই কম দামে সবজি পাওয়া গেছে। এ বছর সেই তুলনায় সবজির দাম কমেনি। শুরুতে সিম বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজিতে। সেই হিসেব করলে সিমের দাম এখন কমে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু শীতের এ সবজি এখন ৩০/৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলে স্বাভাবিক বা দাম কম আছে বলে মনে হতো। কিন্তু এটি আমাদের কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকায়। যা আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের জন্য চড়া বলতে হবে।

গুলশান সংলগ্ন একটি কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা এরশাদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাঁচ/ছয় মাস ধরে সবজির যে দাম গেছে সেই তুলনায় সব সবজির দামই কিছুটা কমেছে। তবে অন্য বছরে শীতের শুরুতে যেমন বাজার থাকে সেই তুলনায় এখনও সবজির দাম বেশি। পাইকারি বাজারে আমাদের বেশি দামে কেনা পড়ছে তাই খুচরা বাজারে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। নতুন সবজি উঠলে দাম আরও কমে যাবে।

সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকায়। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।

মুরগির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ফার্মের মুরগির ডিম এখন ৯০ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে। আর পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতোই ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে টাকি মাছ। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ