ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসীদের জন্য ১২৭৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি

প্রকাশনার সময়: ১৮ নভেম্বর ২০২১, ২০:২২

ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোক্তা এবং দেশে ফেরত এসে বেকার হয়ে পড়া প্রবাসীদের জন্য ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই ঋণের পরিমাণ ১৫ কোটি মার্কিন ডলার, স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসাবে) ১ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।

এডিবি ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) এডিবি’র বোর্ড সভায় এই ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের অভিঘাতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তারা এই ঋণে অগ্রাধিকার পাবেন বলে জানিয়েছে এডিবি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে দেশে এসে আটকে পড়া এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীর সংখ্যা চার লাখ। তাদের বড় একটি অংশই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে থাকতেন। অনেকেই আর কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেননি। এসব অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃজন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের নিয়ে এক ধরনের সংকট রয়েছে।

এডিবি আরও বলছে, করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। ফলে অর্থনীতি সচল করতে এসব উদ্যোক্তাদের ঘুরে দাঁড়ানোটা জরুরি। আর এর জন্যও তাদের অর্থ সহায়তা প্রয়োজন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এডিবির এই অর্থায়ন যুবক, প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসী শ্রমিক ও গ্রামীণ উদ্যোক্তা, বিশেষ করে নারীদের দ্বারা পরিচালিত ছোট পরিসরের ব্যবসাকে সহায়তা করবে। ঋণের এ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ৩০ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত সংগঠনকে দেওয়া হবে। প্রকল্পের লক্ষ্য কর্মসংস্থান সৃজনকে সহজ করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত গোষ্ঠীগুলোকে মহামারির বিরূপ প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধারে সহায়তা দেওয়া।

এডিবি প্রধান আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ ডং ডং ঝ্যাং বলেন, এডিবি দেশের কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলকে সমর্থন করে। করোনায় অনেক প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছেন। মূলত তাদের কল্যাণে এডিবির অনুমোদিত অর্থায়ন ব্যবহার হবে। সেই সঙ্গে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারাও এই অর্থায়ন থেকে সুবিধা পাবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি বলেছে, দেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার নেহায়েত কম নয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এই হার আরও বেড়েছে। খুচরা বাণিজ্য, হোটেল ও খাদ্য পরিষেবার মতো খাতগুলোতে যেসব তরুণ কাজ করতেন, তারা বেকার হয়ে পড়েছেন। মহামারির কারণে এসব খাতের সঙ্গে যুক্তরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অন্যদিকে মহামারি শুরুর পর প্রায় ৪ লাখ বিদেশি অভিবাসী শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন এবং তাদের বেশিরভাগই এখনো বেকার। মহামারিতে গ্রামীণ আয় ও কৃষি-বহির্ভূত কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হয়েছে। গ্রামীণ উদ্যোগগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের ওপর আরও চাপ তৈরি করেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরনে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে এডিবি।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ