ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুনাফার হার কমানোর প্রভাব সঞ্চয়পত্রে

প্রকাশনার সময়: ০৪ নভেম্বর ২০২১, ০৪:৪৩

জাতীয় সঞ্চয়পত্রের স্কিমগুলোর ওপর সম্প্রতি মুনাফার হার কমানোয় এর প্রভাব পড়েছে সঞ্চয়পত্রের বিক্রিতে। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে নিট সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে প্রায় ২২ দশমিক ১৫ শতাংশ।

অর্থবছরের আগস্টে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। যদিও অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে নিট বিক্রির পরিমাণ বেড়েছিল ৭২ শতাংশ।

এদিকে চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম তিন মাসে বিক্রি করেছে ৮ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ২৬.৭৪ শতাংশ।

গত আগস্টে সরকার ব্যাংকের আমানতের সর্বনিম্ন সুদহার সাড়ে ৫ শতাংশ বেঁধে দিয়েছে। এর আগে ব্যাংকে আমানতের সুদহার ছিল ২ থেকে ৪ শতাংশ। কোনো কোনো ব্যাংকে তার চেয়েও কম। এমন পরিস্থিতিতে বেশি মুনাফার আশায় ‘নিরাপদ’ বিনিয়োগ হিসাবে সঞ্চয়পত্র কিনছেন সাধারণ মানুষ। কারণ ব্যাংকের চেয়ে প্রায় কয়েকগুণ বেশি মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে সঞ্চয়পত্র থেকে।

এদিকে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমিয়ে এনেছে সরকার। তবে ১৫ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের মুনাফা একই থাকছে। বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ঋণ ছাড়াও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ করে থাকে সরকার। তবে সামাজিক সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে সঞ্চয়পত্রে তুলনামূলক বেশি মুনাফা দেয় সরকার। প্রতি মাসের বিক্রি থেকে আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধের পর নিট ঋণ হিসাব হয়। এই অর্থ সরকার রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজে লাগায়।

সাধারণত বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকার বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। চলতি অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নেবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। আর জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেবে ৩২ হাজার কোটি টাকা।

অন্যান্য খাত থেকে নেয়া হবে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরে (২০২০-২১) সরকার আগের অর্থবছরের চেয়ে তিন গুণ বেশি ঋণ নিয়েছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে নিট প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ