উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। ফলে গত দুই সপ্তাহে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিকল্প উৎস থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ দেশে ঢুকেছে। আমদানি বাড়ায় এখন খাতুনগঞ্জে কমেছে পেঁয়াজের দাম।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র ও টেকনাফ স্থলবন্দরের তথ্য অনুযায়ী, দুই সপ্তাহে তুরস্ক থেকে এসেছে ৪ হাজার ৪ টন পেঁয়াজ। মিয়ানমার থেকে এসেছে এক হাজার ৬৯৮ টন।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক নাছির উদ্দিন বলেন, তুরস্ক থেকে ১১, ১২, ১৮ ও ২১ অক্টোবর ৪ হাজার ৪ টন পেঁয়াজ এসেছে। আরো কিছু পেঁয়াজ এই সপ্তাহে আসবে। এরই মধ্যে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন আমদানিকারকরা।
টেকনাফ স্থলবন্দরের উপপরিচালক শৈবাল কান্তি নন্দী জানান, মূলত বাংলাদেশ ভারতের পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল। সেখানে দাম বেড়ে গেলে এখানকার ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জের আড়তদার ইদ্রিছ আলী বলেন, দুই সপ্তাহের আগ থেকে বর্তমানে পাইকারিতে ২০ টাকা কমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আড়তে প্রচুর পেঁয়াজ এসেছে, সামনে আরো দাম কমবে।
খাতুনগঞ্জের আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাদশা বলেন, মিয়ানমারের পেঁয়াজগুলো ৫০ শতাংশ খারাপ। তবে তুরস্ক ও অন্যান্য দেশের পেঁয়াজগুলো মোটামুটি ভালো। প্রতিদিন শতশত ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকছে দেশে। দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। উল্টো আরো দাম কমবে বলে মনে হচ্ছে।
এদিকে পাইকারিতে কমে যাওয়া খুচরা পর্যায়েও দাম কমেছে পেঁয়াজের। চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার, নিউ মার্কেট ও কাজীর দেউড়ির খুচরা দোকানে কেজিপ্রতি মানভেদে ৪৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও এর সুফল ভোক্তারা এখনো পুরোপুরি পাচ্ছেন না। আমাদের দেশের বাজারব্যবস্থাটা এমন- কোনো কিছুর দাম বাড়লে সবাই বাড়িয়ে দেয়। কমলে সবাই কমায় না। পেঁয়াজের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে খুচরা পর্যায়েও কমার দরকার ছিল। এর জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ