ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক মালিক সোনিয়া মেহজাবিন এবং তার স্বামী মাসুকুর রহমান প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পুনরুদ্ধার এবং পুনরায় কার্যক্রম শুরু করতে চান।
তারা জানিয়েছেন, ই-অরেঞ্জ পুনরায় চালু করার মাধ্যমে গ্রাহকদের সব পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার দায়িত্ব তারা গ্রহণ করবেন। তবে, এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হলে তাদের প্রথমে জামিনে মুক্তি পেতে হবে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের আইনজীবী মো. শামসুল হুদা।
তিনি জানান, বর্তমানে কারাগারে থাকা ই-অরেঞ্জের সাবেক মালিক সোনিয়া মেহজাবিন তার সম্মতিক্রমে জামিনে মুক্তি পেলে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পুনরুদ্ধার করবেন। তিনি গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন এবং গ্রাহকদের সঙ্গে নিয়ে ই-অরেঞ্জ পুনরায় চালুর পরিকল্পনা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ই-অরেঞ্জের সাবেক মালিক সোনিয়া মেহজাবিন তার আইনজীবীর মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব মহোদয়ের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা ফেরত নেয়া এবং ব্যবসা পুনরায় চালু করার অনুমতি চেয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য মালিকানা পুনর্গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আইনজীবী মো. শামসুল হুদা জানিয়েছেন, সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান জামিনে মুক্তি পেলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তারা আটক থাকলে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ বা ব্যবসা পুনরায় চালুর কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং এ অবস্থায় গ্রাহকদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে। তাই বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমান জানিয়েছেন, ই-অরেঞ্জের ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে যেসব আইনি জটিলতা রয়েছে, সেগুলো আইনানুগ প্রক্রিয়ায় সমাধান করে তারা সামনে এগোতে চান।
উল্লেখ্য, নতুন মালিকপক্ষ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় সক্রিয় না থাকায় সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানের জামিনের মাধ্যমে মুক্তি এবং মালিকানা পুনরুদ্ধার করা হলে ই-অরেঞ্জ সমস্যার একটি কার্যকর সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। তারা মনে করেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে এবং একটি স্থায়ী সমাধান পাওয়া সম্ভব হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা এবং সদিচ্ছা একান্ত প্রয়োজন।
এ সময় কয়েকজন গ্রাহক জানান, গেলো তিন বছর যাবত ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। নানান সমস্যার পরেও অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের টাকা বুঝিয়ে দিয়েছে। এবং তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করছেন। কিন্তু ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা তাদের টাকা বুঝিয়ে পায়নি। তাই অতিসত্বর ই-অরেঞ্জের সকল ঝামেলা মিটিয়ে গ্রাহকদের টাকা বুঝিয়ে দেয়া হোক। এতে যদি মালিক পক্ষকে নজরদারিতে রেখে জামিন দেয়া যায় তাহলে গ্রাহকদের টাকা পেতে সুবিধা হয়। এই মুহূর্তে সব গ্রাহকদের একটায় দাবি যেকোনো মূল্যে আমাদের পাওনা ফেরত দিতে হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ