ঢাকা, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ৭ রজব ১৪৪৬

ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার

প্রকাশনার সময়: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:০৮ | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:১৩

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রতি কেজি চালের ক্রয় পড়বে ৫৫ টাকা ৬ পয়সা। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-৫ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস হতে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ থেকে অনুমোদিত হয়েছে।

তার প্রেক্ষিতে দেশের সরকারি খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৬টি দরপত্র জমা পড়ে। ৬টি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লি. এই চাল সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন ৪৫৮.৮৪ মার্কিন ডলার হিসেবে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২ কোটি ২৯ লাখ ৪২ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চালের ক্রয় মূল্য ৫৫ টাকা ৬ পয়সা।

এর আগে গত বছরের ৪ ও ১৮ ডিসেম্বর ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন করে নন-বসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর আমদানির অনুমোদন দেওয়া প্রতি কেজি চালের মূল্য ধরা হয় ৫৬ টাকা ১২ পয়সা। আর ১৮ ডিসেম্বর আমদানির অনুমোদন দেওয়া প্রতি কেজি চালের মূল্য ধরা হয় ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ২ লাখ টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল এবং জিটুজি পদ্ধতিতে ১ লাখ টন আতপ চাল ক্রয়ের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে বলে খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ