নতুন বছরে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধেই রমজানের চাহিদা মেটাতে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এই সময়ে ভোজ্য তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় ২৮ কোটি লিটার ভোজ্য তেল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর অংশ হিসেবে এক কোটি ৯০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ক্রয়ে ব্যয় হবে ১৮৯ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ অনুসরণে গত ২৫ নভেম্বর স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে সর্বনিম্ন প্রস্তাবকারী সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড প্রতি লিটার ১৭১ দশমিক ৯৫ টাকা দরে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহের প্রস্তাব দেয়। তবে প্রতিষ্ঠানটি অবশিষ্ট এক কোটি ১০ লাখ লিটার সরবরাহে অপারগতা প্রকাশ করে।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সুপারিশ করেছে, প্রস্তাবিত এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল দুই লিটার পেট বোতলে, পরিবহন খরচসহ, মোট ১৮৯ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনা হবে। গত ২ ডিসেম্বর একই প্রক্রিয়ায় ১৭২.২৫ টাকা দরে তেল কেনা হয়।রমজানের বাড়তি চাহিদা এবং কম আয়ের মানুষের জন্য প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য সরবরাহ করছে টিসিবি। এর অংশ হিসেবে ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের চাহিদা মেটাতে দুই কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
সরকারের এ উদ্যোগ রমজানে ভোজ্য তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ