৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের প্রভাব চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে দৃশ্যমান হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ খরচ কমানোর মাধ্যমে আয়ের সঙ্গে নগদ টাকার পরিমাণ বাড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে। ২০২৪ সালের প্রথম পাঁচ মাসে বন্দরের খরচ ছিল ১৪৬ কোটি ৯ লাখ টাকা, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এটি রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং আগের অতিরিক্ত উন্নয়ন ব্যয় কমানোর ফলাফল হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, আগের সময়ের কিছু প্রকল্প যেমন বেটার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি বন্দর, যেখানে অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছিল, তা এখন কমানো হয়েছে। অতিরিক্ত আপ্যায়ন ও লিয়াজোঁ খাতে খরচও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান খরচ কমানোর পাশাপাশি আয়ের উৎস বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। বর্তমান অর্থ কর্মকর্তা মো. শাহ জাহান বলেন, বন্দরের আয় মূলত বিভিন্ন সার্ভিসের মাধ্যমে আসে, যেমন বার্থ, জেটি ভাড়া, ক্রেন চার্জ, টাগবোট ভাড়া এবং বিভিন্ন পোর্ট ডিউস। এই সার্ভিসগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আয় আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মো. আরিফ চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও দ্রুত ও কার্যকরীভাবে পরিচালনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি চট্টগ্রাম বন্দর পণ্য খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ করে কনটেইনারগুলো অফডকে পাঠাতে পারে, তাহলে বন্দরের অপারেশন গতি আরও বাড়বে এবং আয় বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া, চবক সচিব ওমর ফারুক বলেছেন, পণ্য খালাস প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে বন্দরের ভেতরে কাজের গতি আরও বাড়ানো হবে, যাতে জাহাজের রিলিজের সময় কমিয়ে আনা যায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান রাজস্ব আয় ১ হাজার ৯৯২ কোটি ২০ লাখ টাকা, যার মধ্যে ৭৩০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এই উদ্বৃত্ত ১ হাজার ২৬১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। বন্দরের আয় গত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে, তবে ব্যয় কমিয়ে সেই আয়ের বড় অংশ ব্যবহৃত হয়নি। সামগ্রিকভাবে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যয় সংকোচন নীতি অব্যাহত রেখে আরও উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে চাইছে, যা দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ