সেপ্টেম্বরে রফতানি আয় ৪,১৬৫.৪৫ মিলিয়ন ডলারের পৌঁছেছে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি প্রবৃদ্ধি ৩৭.৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর এ তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানির সব খাতে সার্বিকভাবে ১১.৩৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। গতকাল সোমবার ইপিবির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রফতানি আয় ছিল ৩,০১৮.৭৬ মিলিয়ন। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে আরএমজি রফতানিকারকরা ৮,১২৬.৩৮ বিলিয়ন ডলার আয় করে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১.৪৮ শতাংশ বেশি। এদিকে, ওই তিন মাসে নিটওয়্যার রফতানি হয়েছে ৫,১৬৪.১৮ মিলিয়ন ডলারের, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫.৬৯ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের প্রবৃদ্ধিও ছিল ইতিবাচক-২০ শতাংশেরও বেশি। গেল বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বিশ্ববাজারে রফতানি বেড়েছে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। যা শতাংশের হিসাবে ৪১ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। দেশি টাকার অংকে যার মূল্য বেড়েছে ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা (ডলার প্রতি ৮৪ টাকা হিসেবে)। ইপিবির তথ্যমতে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশের
বাজারে দেশীয় পোশাক রফতানি হয়েছে ৩ হাজার ৪১৮ কোটি ৮৪ লাখ ইউএস ডলার। যা এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ২ হাজার ৪১৩ কোটি ৪২ লাখ ইউএস ডলার। সেই হিসেবে ১০০ কোটি ইউএস ডলার পরিমাণ রফতানি আয় বেড়েছে পোশাক খাতে।
শুধু গত বছরের এক সময়ে চেয়ে বেশি নয়, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসের মধ্যে পোশাক রফতানিতে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে। এর আগের গত জুন মাসে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮৯৪ কোটি ৮৮ লাখ ইউএস ডলার পোশাক রফতানি হয়েছিল। তারপরের মাস জুলাইয়ে রফতানি হয়েছিল ২ হাজার ৮৮৭ কোটি ২২ লাখ ডলার এবং আগস্টে রফতানি আয় হয়েছিল ২ হাজার ৭৫৩ কোটি ৫৬ লাখ ইউএস ডলার পরিমাণ। ইপিবির তথ্যমতে, সেপ্টেম্বর মাসে ওভেন ও নিটওয়্যার খাতের পোশাক রফতানি হয়েছে ৩ হাজার ৪১৮ কোটি ৮৪ লাখ ইউএস ডলার। এর মধ্যে ওভেন খাতের পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৫১৩ কোটি ৫৫ লাখ ইউএস ডলার। আর নিটওয়্যার খাতের রফতানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৯০৫ কোটি ২৫ লাখ ইউএস ডলার। গত বছর (২০২০ সাল) সেপ্টেম্বর মাসে ওভেন খাত থেকে রফতানি আয় হয়েছিল ১ হাজার ৬৪ কোটি ৫৪ লাখ ইউএস ডলার। আর নিটওয়্যার খাত থেকে আয় হয়েছিল এ হাজার ৩৪৮ কোটি ৮৮ লাখ ইউএস ডলার।
এ বিষয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গত দেড় বছর করোনার অতিমারির কারণে আমরা অনেকটাই অবরুদ্ধ ছিলাম। করোনার ধাক্কা আমরা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, আমাদের কারখানাগুলোতে প্রচুর পরিমাণ অর্ডার আসছে। পোশাকের দামও বাড়ছে। করোনার মধ্যে কারখানা খোলা রেখে আমরা কেবল ব্যবসা ধরে রেখেছি। এখন তার ফল পাচ্ছি। ফারুক হাসান বলেন, পশ্চিমা ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে। পোশাকের আরো বেশি দাম পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা পাওয়ার পথও সুগম হয়েছে। ফলে আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে রফতানি আয় আরো বাড়বে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ