ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো অসম্ভব: বিজিএমইএ সভাপতি

প্রকাশনার সময়: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৩৭

মজুরি কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির হার (ইনক্রিমেন্ট) বাড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সাধারণ সভায় শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

পোশাক শিল্পখাতে বিদ্যমান অস্থিরতা ও সমস্যা নিরসনে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ সরকারের কাছে ১৮টি দাবি উত্থাপন করে শ্রমিক পক্ষ। এর মধ্যে প্রধান দাবি, মজুরি বোর্ড পুনর্গঠন করে মজুরি পুনর্নির্ধারণ ও বাৎসরিক ন্যূনতম ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, মজুরি কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করে পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও বেতন বৃদ্ধির হার (ইনক্রিমেন্ট) বাড়ানো সম্ভব নয়। কারণ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম, শিল্পের অক্ষমতা এবং উৎপাদনের খরচ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, দিনের পর দিন বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করার পরও দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। এখন বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, দেশে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পোশাক কারখানাগুলো। এ অবস্থায় কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ব্যর্থ হলে সাত দিনের জন্য সব কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে।

বিজিএমইএর তথ্য বলছে, আশুলিয়া এলাকার মোট ২৭২টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার মধ্যে আজ বন্ধ ছিলে ২৭টি। কারখানার খোলার পর কাজ বন্ধ রাখা হয় বা ছুটি দেয়া হয় এমন কারখানার সংখ্যা ১২টি আর স্বাভাবিক উৎপাদনে ছিল ২৩৩টি তৈরি পোশাক কারখানা।

গত মাসের শেষ দিকে এসে হঠাৎই অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে দেশের প্রধান এই রফতানিখাত। এরপর শ্রমিক, মালিক, সরকার, স্থানীয় রাজনীতিবিদ সকলের প্রচেষ্টায় এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করলেও এখনও স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরতে পারেনি কারখানাগুলো।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ