ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেন নজর নেই বিএফআইইউর

প্রকাশনার সময়: ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৫:২৮

প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের টাকা লেনদেনে ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টের ওপর নজর নেই বাংলাদেশ ফাইন্যান্সশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ)। দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে অস্বাভাবিকহারে টাকা লেনদেন হচ্ছে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই ২২টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৩ কোটি টাকা। পাশাপাশি আরো ৩ জনের নামে খোলা ১৮ অ্যাকাউন্ট দিয়ে তুলে নেয়া হয়েছে ৯ কোটি টাকা। অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহারকারীর তালিকায় রয়েছেন ডিম বিক্রেতা-রিকশাচালক-রংমিস্ত্রি ও গৃহিণী। গত কয়েক মাস ধরে এসব অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন হলেও নজরে পড়েনি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষায়িত শাখার কর্মরতদের। অথচ বিষয়টি তাদের নজরদারির আওতায়ই থাকার কথা। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি, পেশার সঙ্গে যদি লেনদেনের হিসাব সঙ্গতিপূর্ণ না হয় তাহলে সেই ব্যাংকই এই হিসাবের খোঁজ নেবে। দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকেই।

সম্প্রতি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক নারীসহ ৩ জনের কাছ থেকে এ ধরনের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। তাদের দেয়া তথ্যমতে আরো শতাধিক অ্যাকাউন্টের সন্ধান করা হচ্ছে। প্রতারণার টাকা লেনদেনে ওই অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহার হচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে। গ্রেফতারের অভিযান চালানো হচ্ছে মাস্টারমাইন্ড শহিদুলসহ আরো একাধিক ব্যক্তিকে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান নয়া শতাব্দীকে জানান, কয়েকটি প্রতারণার ঘটনার তদন্তে নেমে অন্তত ৪০টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অন্তত ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এক নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে একজনের নামে ২২টি, একজনের নামে ৯টা, আরেকজনের নামে ৫টা ও এক নারীর নামে ৪টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে তদন্তে উঠে আসে। এসব অ্যাকাউন্টে গত কয়েকমাসে অস্বাভাবিক লেনদেন হয় বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব টাকা প্রতারণা করে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়। প্রতারণার ঘটনায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের আরো একাধিক অ্যাকাউন্টের তথ্য রয়েছে। ওইসব অ্যাকাউন্ট দিয়েও প্রতারণা করা হচ্ছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই চক্রের সদস্যরা অনেক চালাক। এরা হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল ছাড়া কথা বলে না। একজন মিস্ত্রির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২১ দিনে ৩১ লাখ টাকা ট্রানজেকশন হয় সেখানে ব্যাংক কর্মকর্তারা কী করে এটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে, প্রতারণার অভিযোগে সম্প্রতি ডিম বিক্রেতা সজিব আহম্মেদকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তার দেয়া তথ্যমতে গ্রেফতার করা হয় অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ শরিফ হোসেন ও গৃহিণী মর্জিনা আক্তার রনিকে। এরপর তারা প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। প্রতারণার টাকা লেনদেনে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট। পরে পুলিশ তাদের এনআইডি (ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র) নিয়ে অ্যাকাউন্টের সন্ধান করে। সেখানে দেখা যায়, সজিবের নামে ২২, মর্জিনার নামে ৪, শরিফের নামে ৯ ও পলাতক শহিদুল ইসলামের নামে ৫টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টের মধ্যে গত এক বছরে সজিবের অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি ২০ লাখ, শরিফের ২৩ লাখ, মর্জিনার আড়াই ও পলাতক শহিদুলের অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।

গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যমতে, গ্রেফতার সজিবের ২২ অ্যাকাউন্টের মধ্যে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের তেজগাঁও শাখার ৭০১৭৪১৯৩৮৭১৪২ অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার, একই শাখার ৭০১৭৫১৬০৪০১৩০ অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ৩৮ লাখ ২৬ হাজার, একই শাখার ৭০১৭১০০৩০১০৫৩ অ্যাকাউন্ট থেকে মাত্র ৭ মাসে ২৮ লাখ ৮৭ হাজার, সোনালী ব্যাংকের হেড অফিসের ৪৪২৯৭০১০১০১৯২ অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ মাসে ৩৩ লাখ ১০ হাজার, সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার ১১৪৩০৩০৬৬৩০০১ অ্যাকাউন্ট থেকে গত এক বছরে ২৬ লাখ ৪০ হাজার, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখার ১৭১১৫৭০০০৬৮১৩ অ্যাকাউন্ট থেকে ১১ মাসে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার, সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার ১৪৫৩১০৭৪৩৩০০১ অ্যাকাউন্ট থেকে ১২ মাসে ১৭ লাখ ৭৮ হাজার, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সাভার শাখার ৪০৫৮১২১০০০০১২৭৯ অ্যাকাউন্ট থেকে এক বছরে ১৭ লাখ ৩৯ হাজার, সাভারের ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের ০৯১২১০১০০০০০৬৮৪৩ অ্যাকাউন্ট থেকে এক বছরে ১০ লাখ ২৭ হাজার, একই ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখার ০০৩২১১৩০০০০০৩৫৪১ অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ লাখ ৬৭ হাজার, ব্র্যাক ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখার ৮৮৮৮১০৪৭১৮৩৭৭০০১ অ্যাকাউন্ট থেকে ৭ লাখ ৯৫ হাজার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার ১৩৯১৫২০০০৪৫৯০ অ্যাকাউন্ট থেকে ৭ লাখ ৬১ হাজার, দারুসসালামের ইস্টার্ন ব্যাংকের ১১৮১০৭০২৩৪৪৩১ অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লাখ ৫ হাজার, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের বছিলা রোডের ১৫৭১৩৪০০০৫৪০২ অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার, প্রিমিয়ার ব্যাংকের আটি বাজার শাখার ০১৭৫১২০০০০৮৩১ অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ লাখ ৩৭ হাজার, এনআরবি ব্যাংকের ১০৯১০১০০২৪৮৬২ অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৯০ হাজার, সাউথইস্ট ব্যাংকের আটি বাজার শাখার ০০৮০১২১০০০০৪০১৬ অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৮৪ হাজার, আইএফআইসি ব্যাংকের ০১৮০০৬১৬৯৫৮১১ অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৬৫ হাজার, সিটি ব্যাংকের ১২৩৩১১৯৩৩১০০১ অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৩৯, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের ৭৭৭৩২০১০০০২৫৪৫৪০ অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ২৯ হাজার, আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের ৯৯০১০৮০১২৭৬৪১ অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ হাজার ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সাভার শাখার ৪০১৭১১১০০০০৭৩৩২ অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫০০ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।

এছাড়া শরিফ হোসেনের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৭০১৭৩১৭৫৮৯৬৯০ অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ লাখ, ব্র্যাক ব্যাংকের ৮৮৮৮১০৪৮৭৩৭০৮০০১ অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লাখ ১১ হাজার, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংকের ০১৭১২১০০৫৮৩৩ অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৮৩ হাজার, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১৩৮৩২০১০০০০০১৮৮১৫ অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ, সিটি ব্যাংকের ২২০৩২৩৯৩৩৭০০১ অ্যাকাউন্ট থেকে ২ হাজার, আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের ৯৯০১১৮২৯৩১০৬৩ অ্যাকাউন্ট থেকে ২ হাজার. শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৪০১৬১২১০০০৩৩২৬২ অ্যাকাউন্ট থেকে ২ হাজার, সাউথইস্ট ব্যাংকের ০০৭৪১২১০০০০৪৬৫৯ অ্যাকাউন্ট থেকে ২ হাজার সিটি ব্যাংকের ১১৪৩২৬১৫১৮০০১ অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫০০ টাকা নেন।

একইভাবে গৃহিণী মর্জিনা আক্তার রনির ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২৫৮১৫২০০০২৩৫৩ ও ৭০১৭৪১৮৮৬০২৭৩, সাউথইস্ট ব্যাংকের ০০৮০১৪৬০০০০০১১৩ ও পূবালী ব্যাংকের ৩৯২৯১০১০৫৫৩১৬ অ্যাকাউন্টে অন্তত ২ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।

এছাড়া পলাতক রংমিস্ত্রী শহিদুল ইসলামের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৭০১৭৪১২৬৯৮১০৩ অ্যাকাউন্ট থেকে ২ কোটি ৩৭ লাখ, একই ব্যাংকের ৭০১৭৪১২৮১৪৬৭৭ অ্যাকাউন্ট থেকে এক কোটি ৩৯ লাখ, ইসলামী ব্যাংকের ২০৫০৭৭৭০২৪০১১৩৩০২ অ্যাকাউন্ট থেকে এক কোটি তিন লাখ, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার ১৬৪১৫১০৫৪৯৮৩৮ অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৫ লাখ এবং সিটি ব্যাংকের ২২০২৮১৮৭১২০০১ অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লাখসহ আরো কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য উঠে আসে।

গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার খলিলুর রহমান বলেন, প্রতারক চক্রের মূল হোতা শহিদুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন পলাতক। তাদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই চক্রের সদস্যরা ডিম বিক্রেতা ও রিকশাচালকের মতো কম আয়ের মানুষকে দলে টেনে তাদের দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলিয়ে প্রতারণার অর্থ তুলে নিচ্ছে। প্রতি লাখে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের মাত্র ১৫শ’ টাকা দেয়া হতো। বাকি টাকা নিয়ে যায় চক্রের মূল হোতারা।

তিনি বলেন, সাধারণত বিদেশি সেজে নিরীহ মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। একপর্যায়ে বাংলাদেশি বন্ধুর জন্য পাঠান দামি উপহার। এরপর বিমানবন্দরে উপহার পৌঁছানোর নাম করে কাস্টমস শুল্ক বাবদ টাকা পরিশোধ করার অনুরোধ করা হয়। এভাবে উপহারের লোভে অনেকে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন। এক পর্যায়ে ওই টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যান চক্রের সদস্যরা। যার নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয় তিনি নামমাত্র কিছু টাকা পান।

জানা গেছে, ইংল্যান্ডের আল রায়ান ব্যাংকে মৃত দম্পতির হিসাবে থাকা পঁচিশ কোটি টাকা পাইয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে ঝিনাইদহের সরকারি চাকরিজীবী আবুল বাশারকে ফাঁদে ফেলে বিদেশিনী সাজা বাংলাদেশেরই প্রতারক চক্র। তারপর ওই টাকা পেতে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে জমা দেন প্রায় তিন লাখ টাকা।

ভুক্তভোগী আবুল বাশার বলেন, ‘ইউসিবি ব্যাংক কাওরান বাজার শাখার একটি অ্যাকাউন্ট দিলে আমি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাই। এরপর থেকে তার সঙ্গে আমার আর কোনো যোগাযোগ নেই।

প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে বাশারের মতো বরিশালের এক ব্যক্তি ৬০ লাখ টাকা খুইয়ে আত্মহত্যা করেন। এ রকম অনেক অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। ধরা পড়ে চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ড পরিচ্ছন্নতাকর্মী মর্জিনা আক্তার রনি, ডিম বিক্রেতা সজিব ও রিকশাচালক শরিফ। তাদের দলনেতা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম নামে রংমিস্ত্রী। ডিম বিক্রেতা সজিব গোয়েন্দাদের বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল যে আমার অ্যাকাউন্টে টাকা আসবে, আমাকে শুধু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হয়েছিল। আমি তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে তারা আমাকে বলেছিল যে, বিদেশ থেকে টাকা আসবে।’

গ্রেফতার রিকশাচালক শরিফ গোয়েন্দাদের বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল অ্যাকাউন্ট খোলার কথা। সেখানে টাকা জমা হবে এবং সেই টাকা থেকে কমিশন দেয়ার কথাও বলা হয়। এক লাখ টাকায় ১৫০০ করে টাকা দেয়ার কথা।’ গ্রেফতার মর্জিনা আক্তার রনি গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, সজিবকে দিয়ে ২০ থেকে ২৫টি এবং শরিফকে দিয়ে প্রায় ৩০টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এগুলোর ডেবিট কার্ড, চেক বই এবং মোবাইল ফোনগুলো পলাতক শহিদকে দিয়ে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কারো পেশার সঙ্গে যদি লেনদেনের হিসাব সঙ্গতিপূর্ণ না হয় তাহলে সেই ব্যাংকই এই হিসাবের খোঁজ নেবে। দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকেই। এটা যদি তারা না করে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকে নোটিস এলে আমরা সেই ব্যাংকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ