অধ্যাদেশের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া বাতিল করতে পারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। করদাতারা এমনটাই মনে করছেন। কারণ গতকাল মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমন একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন রাজস্ব কর্মকর্তারা।
সরকারি সূত্রের বরাতে জানা যায়,করখাতে সংস্কার, হয়রানিমুক্ত বাণিজ্য ছাড়পত্র, সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধির মতো বিস্তৃত বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে আলোচনার সময়ে অধ্যাদেশের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া বাতিল করার প্রস্তাব দেন কর কর্মকর্তারা। অর্থ উপদেষ্টা তাঁদের প্রস্তাবে ইতিকাচক সাড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার তাদের বাজেটে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দেওয়ার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা রেখেছিল। আর নিয়মিত করদাতাদের আয়ের ওপরে ছিল ২০ শতাংশ পর্যন্ত কর দেওয়ার ব্যবস্থা।
এ ব্যাপারে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘চলতি বছরের বাজেটে পাস করা এই স্কিমটি বাতিল করার জন্য একটি অধ্যাদেশ পাস করতে হবে।’
তবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এই মুহূর্তে আর্থিক ‘সাধারণ ক্ষমা’ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। এ ছাড়া বিদ্যমান কালো টাকা সাদা করার সুবিধা এবং ট্যাক্স-বেস-এক্সটেনশন সহায়তার বিষয়ে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের প্রস্তাবের বিষয়েও তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রবৃদ্ধির জন্য বেসরকারী খাতের বিনিয়োগের সুবিধার্থে শুল্ক বন্দর থেকে পণ্য খালাসে কোনো বাধা সৃষ্টি না করার জন্য রাজস্ব বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কর আদায়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শিল্প খাতের উন্নয়নের ব্যবস্থা নিতে হবে। বিল অব লেডিং এবং বিল অব এন্ট্রি যথাসময়ে প্রকাশ করতে হবে। কোনো কাগজপত্রের অভাব থাকলে রাজস্ব কর্মকর্তারা তা চেয়ে নেবেন।’
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হবে। এটি এখনও কম। এনবিআরকে কর সংগ্রহ সর্বাধিক করতে হবে। সরকার ক্রমাগত ঋণের ওপর নির্ভর করে চলতে পারে না।
নয়াশতাব্দী/ইএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ