এবার সৌদি আরব ও কাতার থেকে আমদানি করা হবে ইউরিয়া সার। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কাতারের মুনতাজাত থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১১৫ কোটি ৫৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৩০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এদিকে বিসিআইসি কর্তৃক সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (এসএবিআসি) থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১১৫ কোটি ৫৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৩০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিসিআইসি কর্তৃক এসএবিআইসি থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার ১১৪ কোটি ৩০ লাখ ২৮ হাজার ৫৩০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে বিসিআইসি কর্তৃক ৫ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১১৯ কোটি ১৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কর্তৃক ৪০ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল ইন্দোনেশিয়ার পিটি বুমি সিয়াক পুসাকু জাপিনের নিকট থেকে ১৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট হতে বাকলিয়া চর পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণ এবং ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্য বৃদ্ধি’ প্রকল্পের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্তৃক কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের বাস্তবায়ন তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জয়েন্ট ভেঞ্চারে উজো এবং কোরিয়ার সানজিনকে ৫৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫৩৯ টাকায় নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল আরো জানান, অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদফতর কর্তৃক রাশিয়া থেকে জিটুজি ভিত্তিতে যে গম আনার আলোচনা হয়েছে সেটা মূলত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদনের জন্য রাশিয়া থেকে একটি অফার এসেছে। সেটা নিয়ে প্রথমে এখানে নীতিগত অনুমোদনের পর তারা নেগোসিয়েশনে বসবে। এরপর বোঝা যাবে তারা কোন দামে দিতে পারবে। দামের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা যায়নি।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ