মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ই-কমার্সে ক্ষতি ১৭০০ কোটি টাকা

প্রকাশনার সময়: ৩১ জুলাই ২০২৪, ২১:৪৪ | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪, ২২:০০

ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় দেশের ই–কমার্স ও এফ-কমার্স খাতে প্রতিদিন অন্তত ১২০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার পর থেকে গত ১৩ দিনে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।

বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে সংগঠনটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

ই–ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার জানান, ডিজিটাল মার্কেটার, কনটেন্ট ডেভেলপার, স্টার্টআপ এবং ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় প্রথম ১০ দিনেই ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

লিখিত বক্তব্যে শমী কায়সার বলেন, ইন্টারনেট শাটডাউন, ধীর গতি এবং ফেসবুক–হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দীর্ঘসময় বন্ধ থাকায় ব্যবসা–বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ই–কমার্স ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী, যা সরকারও অবগত। উচ্চপর্যায়ের অনেককে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি।

ই-ক্যাব সভাপতি বলেন, দেশের ২০ লাখ উদ্যোক্তা ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল। শুধু ফেসবুকভিত্তিক উদ্যোক্তা রয়েছেন ৫ লাখেরও বেশি। পণ্য সরবরাহে রয়েছেন আরও ৮ লাখ মানুষ। প্রতিবছরই এ সংখ্যা ২৫ শতাংশ হারে বাড়ছে।

ফেসবুক চালু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুত ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন করে দেয়া হোক। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এভাবে ইন্টারনেট ও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে না দেয়া হয়, সেদিকে সরকারকে নজর রাখতে হবে।

শমী কায়সার বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ফেসবুক কেন্দ্রিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। তাদের অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া, কর্মীদের বেতন দিতে না পারার মতো সংকটে পড়েছেন। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আমরা স্বল্প সুদে ও বিনা জামানতে ঋণ দেয়ার অনুরোধ করছি।

কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরে ই-ক্যাব সভাপতি বলেন, যারা ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদের ঋণ পরিশোধে যেন ৬ মাস সময় দেয়া হয়। আন্তর্জাতিকভাবে ইতিবাচক ব্র্যান্ডিং করার পাশাপাশি বিনা জামানতে ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণ দেয়ার ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়। এছাড়া এক মাসের জন্য যারা বিজ্ঞাপনের টাকা মেটাকে (ফেসবুক) পরিশোধ করেছেন, সেই টাকা যেন পুরোপুরি কেটে না নেয়া হয় মেটার সঙ্গে সে বিষয়ে যোগাযোগ করতে হবে। বিজ্ঞাপনে ১৫ শতাংশ ভ্যাট সেটি প্রত্যাহার এবং উদ্যোক্তাদের ট্রেড লাইসেন্সের নবায়ন ফি মওকুফের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ই-ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতি সাহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা, অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ প্রমুখ

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ