ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ই-কমার্স : বেকায়দায় সরকার

প্রকাশনার সময়: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৩১

ডিজিটাল যুগে ই-কমার্স খুবই জনপ্রিয়। করোনার কারণে এই জনপ্রিয়তা বেড়েছে কয়েকশগুণ। মুঠোফোনের এক ক্লিকেই মুহূর্তেই কাক্সিক্ষত পণ্য হাতে! উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্ত সবাই অভ্যস্ত হয়ে উঠছিলেন অনলাইনভিত্তিক এই কেনাকাটায়। বিশে^ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিতে সমৃদ্ধি এনে দিয়েছে। তবে উল্টো পথে হেঁটেছে বাংলাদেশ। এই জনপ্রিয় মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই নিজের আখের গুছিয়েছে। মেতেছেন অর্থপাচারের মতো ঘৃণ্য অপরাধে। অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীরা যেখানে ই-কমার্স দিয়ে সরকারকে স্বস্তিতে রেখেছেন। সেখানে আমাদের দেশের সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে এই খাত। দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার জাল ব্যাপক বিস্তৃত। গ্রাহকরা নানাভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এমনকি পণ্য কিনতে গিয়ে খোদ বাণিজ্যমন্ত্রীও ঠকেছেন। তার সঙ্গেও প্রতারণা করতে ছাড়েনি এই চক্র।

এদিকে ই-কমার্সের এই প্রতারণার দায় কার ওপর বর্তাবে তা নিয়ে সরকার বেকায়দায় পড়েছে। একদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর দায় চাপাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। অন্যদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী প্রতারকদের গ্রেফতার না করার পক্ষে নিজের মতামত জানিয়ে বলেছেন, কাউকে জেলে পাঠালে ই-কমার্স গ্রাহকদের কোনো উপকার নেই। একটি আলাদা নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করার কথা জানান তিনি। তবে সেন্টার ফর ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ সেল গঠনের বিরোধিতা করে বলছেন, ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন করে আলাদা নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করার প্রয়োজন নেই। গ্রাহক, বিশ্লেষক, ব্যবসায়ী ও দায়িত্বশীলদের এমন কথাবার্তায় বেশ বেকায়দায় সরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে পচনশীল দ্রব্য, ফলমূল, ইলেকট্রনিকস পণ্য কী নেই ই-কমার্সে। তবে এতকিছুর পরও সম্প্রতি আলোচিত ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, আলেশা মার্ট কেলেঙ্কারির পর শঙ্কার মুখে পড়েছে এ খাত। এরই মাঝে গ্রাহকরা মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন এখান থেকে। ফলে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছেন এ ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

গত দেড় বছরে বাংলাদেশে ই-কমার্স বাণিজ্য দ্রুতগতিতে বেড়েছে। বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, লকডাউনের মধ্যে এক একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৫ থেকে ৭ গুণ পর্যন্ত। এমনকি ডেলিভারি দিতেও হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) জানিয়েছে, বর্তমানে সারাদেশে ১ হাজার ৬০০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মাধ্যমে গত বছর বার্ষিক লেনদেন হয় ১৬ হাজার কোটি টাকা। এ বছর সংগঠনটি প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। তবে ইভ্যালি কেলেঙ্কারিতে গ্রাহকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঠিক একইসঙ্গে দেশের ই-কমার্স খাতেও এসেছে বড় ধরনের ধাক্কা। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের কাছ থেকে ২১৪ কোটি টাকা অগ্রিম গ্রহণ করলেও বিনিময়ে পণ্য দেয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বরাত দিয়ে জানা যায়, এ কোম্পানির মোট দায় ৪০৭.১৮ কোটি টাকা যার মধ্যে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নেয়া অর্থের পরিমাণ ২১৩.৯৪ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন মার্চেন্টের কাছ থেকে বাকিতে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করা অর্থের পরিমাণ ১৮৯.৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু কোম্পানির আছে মাত্র ৬৫.১৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ যখন ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বড় বড় অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান যখন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে। ঠিক সেই মুহূর্তে ইভ্যালির মতো ঘটনা মোটেও ভালো ফল বয়ে আনবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের ঘটনায় অনলাইন কেনাকাটায় আগ্রহ হারিয়েছেন ক্রেতারা। প্রতারিত হয়ে কয়েকজন ভোক্তা দৈনিক নয়া শতাব্দীকে জানিয়েছেন তাদের কথা। বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন মাসুম বিল্লাহ। তিনি নয়া শতাব্দীকে বলেন, আমি প্রায়ই ই-কমার্স থেকে পণ্য ক্রয় করতাম। প্রথমবার ছাড়া অন্য সময়ে ঠকতে হয়েছে। তাই এখন আর ই-কমার্স থেকে পণ্য ক্রয় করি না। খলিলুর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, বেশ কয়েকবার হেডফোন অর্ডার করেছিলাম। একটাও কাজে লাগেনি। পরে টি-শার্টেরর অর্ডার করি, কিন্তুৃ সাইজ মেলেনি। অর্ডার করা সাইজ থেকে এক সাইজ ছোট দিয়েছিল। ঠিক একইভাবে কিছুদিন আগে জুতা অর্ডার করেছিলাম বড় সাইজের জুতা দেয় তারা। এরপর থেকে অর্ডার দেই না। ভবিষ্যতেও আর ইচ্ছে নেই। অভিযোগের দীর্ঘসূত্রতার কারণে সে পথে হাঁটেননি এ ক্রেতা।

অগ্রিম অর্থ পরিশোধ করে পণ্য ক্রয়কে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন বেশিরভাগ ক্রেতা। এ বিষয়ে আল আমিন বলেন, আমি যখন ই-কমার্স থেকে পণ্য কিনতে যাই তখন অবশ্যই খেয়াল রাখি ক্যাশ অন ডেলিভারি দিচ্ছে কি-না প্রতিষ্ঠানটি। যদি দেয় সেক্ষেত্রেই আমি কেনাকাটা করি। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, টাকা পরিশোধ করার পর পণ্য ডেলিভারি আসে না। আর এলেও অনেক দেরিতে আসে। সেজন্য পণ্য হাতে পেয়ে পছন্দ হলে তারপর মূল্য পরিশোধ করি। সাইফ আল হাসান বলেন, একবার ঘড়ি অর্ডার করছিলাম। ভাঙা ঘড়ি দেয়ায় আর কখনো অনলাইনে কেনাকাটা করিনি।

এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী নিজেই ই-কমার্স থেকে প্রতারিত হয়েছেন। তিনি গতকাল রোববার জানান, একটি ই-কমার্স সাইটে কোরবানির ঈদের জন্য গরু অর্ডার দিয়ে কাক্সিক্ষত গরু পাইনি। আমি গত কোরবানির ঈদের আগের কোরবানির ঈদে একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করি। তাদের নিজের কোরবানির জন্য একটি গরু কিনতে এক লাখ টাকা দিই। কিন্তু আমাকে যে গরুটি দেখিয়েছিল, আমি সেটি পাইনি। আমি নিজেই তখন অর্ডার করে প্রতারিত হয়েছিলাম।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাদত হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ই-কমার্সে বর্তমানে আমরা ট্রানজিশন পিরিয়ড কাটাচ্ছি। যে কোনো কিছু অর্জনের জন্য ট্রানজিশন পিরিয়ড পার করতে হয় এবং এর বিনিময়েই তা অর্জন করতে হয়। এখন যা হচ্ছে সেগুলো ট্রানজিশনের ফল। বর্তমানে সার্বিকভাবে সেই ক্ষতিটাই হচ্ছে। তবে মাথাব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা যেমন কোনো সমাধান নয়। ঠিক একইভাবে ই-কমার্সের বর্তমান অবস্থার পেছনের কারণ কী সেটা খুঁজে বের করতে হবে। সমস্যার সমাধান করতে হবে। এক্ষেত্রে সততা, মনিটরিংয়ের বিষয়ে জোর দিতে হবে। বাণিজ্যের ডাটা আপডেট করতে হবে। প্রতিদিনের ডাটা প্রতিদিন। কঠোর নজরদারি নেই বলে ব্যাংক লোক মারফত জানতে পারছে গ্রাহকের ১০০০ কোটি টাকা মেরে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠান। আমাদের আরেকটি সমস্যা হলো এখানে সবকিছুর সঙ্গে অনেক অথরিটি যুক্ত থাকে। যে কারণে দেখা যায়, এত এত অথরিটি মিলিয়ে তালগোল পাকিয়ে যায়। ই-কমার্সগুলো তাদের বাণিজ্যিক পলিসি ঠিকমতো মানছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ১০০ টাকা দিলে ২০ টাকা ফেরত দেবে এ ধরনের কোনো পলিসি ই-কমার্সের বিধানে নেই। কাজেই এটা তারা কীভাবে করছে সেদিকে কঠোর নজরদারি দরকার।

ইভ্যালি কেলেঙ্কারির পর বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। এ বিষয়ে লাইভ শপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান খান বলেন, বর্তমানে অর্ডারের ভলিউম উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। যেহেতু ই-কমার্সটা বাংলাদেশে এখনো অপরিণত একটি ব্যবসা সেক্ষেত্রে একটা প্রতারণার ঘটনা ঘটলে কোনটা সঠিক কোনটা ভুল সেটা আর ক্রেতারা বিচার করতে চান না। যে কারণে দেখা যাচ্ছে, আমারা আমাদের শো-রুমের ঠিকানা দেয়ার পরও মানুষ আমাদের বিশ্বাস করছে না এবং অনেক ক্ষেত্রে অনেক মন্দ আচরণের শিকার হতে হচ্ছে ক্রেতাদের কাছ থেকে। ই-কমার্স নিয়ে পুরোপুরি একটি নেতিবাচক ধারণা মানুষের মনে গেঁথে গেছে। অনলাইনে পণ্য বিক্রি করেন আরিফুর রাজু। তিনি নয়া শতাব্দীকে বলেন, সম্ভাবনাময় এই খাতকে বাঁচাতে সরকারের নজরদারি বাড়ানো উচিত। কোনো অনিয়ম দেখলেই যাতে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে। এছাড়া অগ্রিম অর্থ পরিশোধও এই সমস্যার অন্যতম কারণ। এটা বন্ধ করতে হবে। ছাড়ের বিষয়টিও দেখা উচিত। পণ্যের বাজারমূল্য থেকে যদি অর্ধেক বা তার আরো বেশি ছাড় দেয়Ñ তাহলে এটাও বন্ধ করা উচিত। এসব ছাড়ে গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হয়।

বেশিরভাগ ক্রেতা এখন অনলাইনে কেনাকাটা বাদ দিয়ে সরাসরি শো-রুমে এসে কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। ঢাকার বাইরে যারা ডেলিভারি নিচ্ছেন তারা পণ্য পছন্দ না হলে সরাসরি ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে আগে ক্রেতাদের কাছে আমরা ডেলিভারি চার্জ চাইতে পারতাম কিন্তু এখন আর সেটা দাবি করতে পারি না। তবে আমরা বিশ্বাস করি খুব দ্রুত আমরা আবার আগের অবস্থানে ফিরে যাব এবং ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হব।

ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, এ ঘটনার পর থেকে অর্ডারের ভলিউম অনেক কম। যারা অর্ডার করছে তারা সবাই ক্যাশ অন ডেলিভারিতে যাচ্ছে। কার্ডে আর কেউ পেমেন্ট করছে না।

ই-কমার্সে প্রতারণার জন্য প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, এসব প্রতিষ্ঠান করার সময় কারো না কারো ছাড়পত্র নিয়েই করা হচ্ছে। এখানে ছাড়পত্র দিচ্ছে কমার্স মিনিস্ট্রি। তাদের প্রাইমারিলি দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের সঙ্গে অন্য যাদের সম্পৃক্ততা আছে, তাদের সবারই আমি মনে করি দায়িত্ব নেয়া উচিত। এদিকে দেশের ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনার জন্য সরকার একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ডিজিটাল কমার্স আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী এ কথা জানান। এছাড়া বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এবং বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ব্যবস্থা নিতে একটি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ সেলও গঠন করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী জানান, বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক কার্যকলাপের অভিযোগ তদন্তের জন্য অস্থায়ী পদক্ষেপ হিসেবে একটি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ সেল গঠন করা হবে। সেলের কর্তৃপক্ষ বিদ্যমান আইনানুযায়ী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আমরা কয়েকজনের দোষের জন্য পুরো ব্যবসা ধ্বংস করতে পারি না। সরকার গ্রাহকদের পাওনার দায়িত্ব নেবে না কিন্তু তাদের টাকা ফেরত দেয়ার পদক্ষেপ নেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধন করা হবে যাতে প্রতারক ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়।

ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন করে আলাদা নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করার প্রয়োজন নেই বলেও মনে করে সিপিডি। গত শনিবার এক ভার্চুয়াল সভায় অনলাইন বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা ও আইনজীবীরা বলেছেন, নতুন আইন কিংবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন না করে বরং সরকারের উচিত হবে বিদ্যমান যেসব আইন আছে, সেগুলো বাস্তবায়নে ন জর দেয়া। একইসঙ্গে সরকারের এক সংস্থার সঙ্গে আরেক সংস্থার সমন্বয় করা।

চালডাল ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিম আলিম বলেন, ‘ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও আলাদা কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই। শুনতে পাচ্ছি, ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে আলাদা একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করবে সরকার। এটি ই-কমার্সকে আরো কঠিন করে ফেলবে। সরকারের বিদ্যমান যেসব সংস্থা আছে, তাদের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ালে সেটি আরো বেশি কার্যকর হবে।’

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ