এখন থেকে বিশ্বের যে কোনো বন্দরে কোনো রকম ইন্সপেকশন কিংবা বিধি-নিষেধ ছাড়াই নোঙর করতে পারবে বাংলাদেশি মালিকানাধীন সব জাহাজ। গ্রে থেকে হোয়াইট লিস্টে নাম ওঠায় এ সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। জাপানভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা টোকিও এম ও ইউর সমীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মতো উন্নত দেশকে এ তালিকায় পেছনে ফেলেছে লাল-সবুজের দেশ।
বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজগুলোর ওপর ২৫৭টি ইন্সপেকশন করেছে টোকিও এম ও ইউ। এর মধ্যে এক শতাংশেরও কম নেতিবাচক মার্ক নিয়ে হোয়াইট লিস্টে নাম উঠেছে বাংলাদেশের। বর্তমানে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ৯৯টি জাহাজ সমুদ্র বাণিজ্যে পণ্য পরিবহন করছে।
তালিকা অনুযায়ী, সিয়েরা লিয়ন এবং মঙ্গোলিয়াসহ ৪টি দেশ রয়েছে কালো তালিকায়। আর গ্রে তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, রাশিয়া, ভারতসহ ১৬ দেশ। এছাড়া সাদা তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও ৩৫টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে।
এই তালিকায় আসার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়, সেগুলো হলো- জাহাজের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, নিরাপদ নেভিগেশন সিস্টেম এবং দূষণ প্রতিরোধে আগাম প্রস্তুতি। মূলত এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চলাচলরত পণ্যবাহী জাহাজের মানের পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধা যাচাই শেষে এই তালিকা তৈরি করা হয়।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আন্তর্জাতিক আইনকানুন মেনেই দেশের জাহাজ ও বন্দরগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। যার ফলস্বরূপ এই অর্জন।
এমএসসি শিপিংয়ের হেড অব অপারেশন আজমীর হোসাইন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জাহাজ গ্রে বা ব্ল্যাক লিস্টে থাকলে অনেক দেশই প্রবেশাধিকার দেয় না। তবে এখন বাংলাদেশের নাম হোয়াইট লিস্টে উঠে আসায় কোনো নিষেধাজ্ঞায় পড়বে না দেশের জাহাজগুলো।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ