ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ছাড়ে বাড়ছে খেলাপি

প্রকাশনার সময়: ১৫ মে ২০২৪, ০৭:৩৮

কোভিড মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে কোনো ঋণ পরিশোধ না করেও খেলাপিমুক্ত ছিলেন গ্রাহকরা। ২০২২ সালে সেই ছাড় তুলে দিলে খেলাপি ঋণ বেড়ে যায়। আরও বেড়ে যেতে পারে এমন শঙ্কায় গত জুনে ব্যাংকঋণ পরিশোধে আবার ছাড় দেয়। ঋণের কিস্তির অর্ধেক টাকা জমা দিয়েই খেলাপির খাতা থেকে নাম কাটার সুযোগ করে দেয়া হয়। কিন্তু তারপরও খেলাপি ঋণ বাড়ছেই। বরং বারবার ছাড় দেয়ার কারণে ভালো গ্রাহকরাও ঋণ পরিশোধে আগ্রহ হারাচ্ছেন বলে মনে করেন ব্যাংকাররা। তাদের মতে, এতে ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়ছে এবং নতুন ঋণ দেয়ার ক্ষমতা হারাচ্ছে।

এদিকে গত বছর জাতীয় সংসদে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করা হয়। এর ফলে খেলাপিরাও ঋণ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। আগে একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের কোনো প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হলে তাদের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ পাওয়ার সুযোগ ছিল না। নতুন আইনের কারণে সামনের দিনগুলোতে খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

মূলত ২০১৫ সাল থেকে ঋণখেলাপিদের জন্য বড় বড় ছাড় দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে খেলাপিরা বারবার ঋণ পুনঃতফসিল করে নিয়মিত দেখাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা নতুন করে ঋণও নিচ্ছেন এবং নতুন করে খেলাপি হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বছরের আগস্টে আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে, দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপির চেয়ে পুনঃতফসিল ঋণের পরিমাণ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সাল শেষে দেশে পুনঃতফসিল করা ঋণের স্থিতি ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। যা ব্যাংক খাতের মোট ঋণের ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। ২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ব্যাংক খাতে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে, যা ২০২২ সালের একই সময়ের চেয়ে ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। পুনঃতফসিল নীতিমালায় শিথিলতা আনার পর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পুনঃতফসিলে ঝুঁকছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয় ১১ হাজার ৫১২ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের একই সময়ে পুনঃতফসিল করা হয়েছে ১৮ হাজার ৮১২ কোটি টাকা। এর বাইরেও মামলার কারণে আটকা আছে আরও প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। ফলে সব মিলিয়ে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ হবে ৪ লাখ কোটি টাকার বেশি, শতাংশ হারে যা প্রায় ৩০ শতাংশ। সুতরাং বাংলাদেশ ব্যাংক এখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯ শতাংশ দেখালেও প্রকৃত খেলাপির পরিমাণ অনেক বেশি।

আইএমএফ পুনঃতফসিল করা ঋণ ও আদালতের স্থগিতাদেশ দেয়া ঋণকে খেলাপি হিসেবে দেখানোর পক্ষে। আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার শর্ত দিয়ে রেখেছে। এ শর্তও আপাতত পূরণ হচ্ছে না বলেই দেখা যাচ্ছে। এদিকে ঋণখেলাপিদের উদার হস্তে ছাড় দেয়া শুরু হয় ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর। নতুন করে ক্ষমতায় এসে ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ঋণখেলাপিদের জন্য ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ এক স্কিম হাতে নেয়। তখন তিনবারের বেশি ঋণ পুনঃতফসিল করা যেত না। কিন্তু বেশির ভাগ প্রভাবশালী উদ্যোক্তাই তিনবার সুযোগটি নিয়েও খেলাপি হয়ে পড়েছিলেন।

ফলে ঋণ পুনর্গঠন নামে নতুন এক সুবিধা দেয়া হয়। ওই সুবিধার আওতায় দেশের বড় ১১টি শিল্প গ্রুপের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ পুনর্গঠন করা হয়েছিল। তারপরও এসব গ্রুপের বেশির ভাগই ঋণের কিস্তি আর পরিশোধ করেনি।

আবার বড় ছাড় দেয়া হয় ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর। ২০১৯ সালে অর্থমন্ত্রী হয়েই আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের ইতিহাসে ঋণখেলাপিদের জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধাটি দেন। সে সময় ২ শতাংশ কিস্তি দিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ রাখা হয়। নতুন নিয়মে ঋণ পরিশোধের জন্য ১০ বছর সময় দেয়া হয়, এর মধ্যে প্রথম এক বছর কোনো কিস্তি দিতে হয়নি। সে সুযোগ নেয়া বেশির ভাগই পরে খেলাপিতে পরিণত হয়।

অথচ অর্থমন্ত্রী ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসেই এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, আর এক টাকাও খেলাপি ঋণ বাড়বে না। তখন দেশে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। সেই খেলাপি বেড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবেই এখন এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। কেবল পরিমাণে নয়, শতাংশ হারেও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। আর আইএমএফের দেয়া পদ্ধতি অনুযায়ী পুনঃতফসিল ও মামলায় আটকে থাকা ঋণের হিসাবে নিলে পরিমাণ ও শতাংশ হারে খেলাপি ঋণ বেড়েছে বহু গুণ।

বিশাল অঙ্কের এই ঋণ খেলাপি নিয়ে সবচেয়ে জোরালো কথা বলেন প্রবীণ অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মইনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজ ব্যাংকিং খাতের যে দুরবস্থা, তার জন্য খেলাপি ঋণ দায়ী, বড় বড় ঋণ খেলাপিরা দায়ী। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিয়ে ব্যাংকিং খাতে কখনোই সুশাসন নিশ্চিত করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের যে হিসাব দিচ্ছে, তা প্রকৃত তথ্য নয়। কারণ, প্রকৃত খেলাপি ঋণ আরও অনেক বেশি। মামলার কারণে অনেক ঋণকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। আবার অবলোপন করা ঋণও খেলাপির হিসাবে নেই। এ দুই ঋণকে বিবেচনায় নিলে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। যত দিন ঋণখেলাপিদের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আলাদাভাবে বিচারের ব্যবস্থা করা যাবে না— তত দিন খেলাপি ঋণও কমবে না বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক এই অধ্যাপক।

তিনি বলেন, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে সাবেক দুই প্রধান বিচারপতি মো. সাহাবুদ্দীন আহমদ ও মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ঋণখেলাপিদের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু কোনো সরকারই এ উদ্যোগ নেয়নি। খেলাপি ঋণের লাগামহীন ঘোড়াকে থামাতে হলে ঋণখেলাপিদের সম্পদ জব্দের পাশাপাশি তাদের জেলের ভাত খাওয়াতে হবে। তাহলে হয়তো এ অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে। যত দিন এ কাজ করা যাবে না, তত দিন পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হবে না।

এদিকে ব্যাংক ঋণের সুদহার বেড়েই চলেছে। নতুন ঋণের ক্ষেত্রে এপ্রিল মাসে ‘স্মার্ট’ (সিক্স মান্থস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) সুদহার ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আগের মাস মার্চে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। বড় অঙ্কের ঋণের ক্ষেত্রে এই স্মার্ট সুদ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ সুদ যোগ করে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। এ হিসাবে এপ্রিল মাসে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণে সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

অর্থাৎ এখন ব্যাংক থেকে ১০০ টাকা ঋণ নিতে বছরে ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ সুদ দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এপ্রিলের আগে নেয়া ঋণের সুদহার আগের মতোই থাকবে। তবে ছয় মাস পর সুদহার পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে ব্যাংক।

ট্রেজারি বিলের সুদ হারের ছয় মাসের গড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক মার্চ মাসের এই ‘স্মার্ট’ রেট হিসাব করেছে। ফেব্রুয়ারিতে ‘স্মার্ট’ রেট ছিল ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। জানুয়ারিতে ছিল ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে এ সুদহার ছিল ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। নভেম্বরে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, অক্টোবরে ৭ দশমিক ২০ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ছিল ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। গত বছরের জুলাইয়ে ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি চালুর সময় সুদহার ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ।

কটেজ, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই), ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ তদারকি বা সুপারভিশন চার্জ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। সে হিসাবে ভোক্তা ঋণ ও সিএমএসএমই ঋণের সুদহার হবে ১৪ শতাংশের বেশি— ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

মার্চে বড় অঙ্কের ঋণের সুদহার ছিল ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। ভোক্তা ও ছোট ঋণের সুদহার ছিল ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে বড় অঙ্কের ঋণের সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আর ভোক্তা ঋণের সুদহার ছিল ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে গত ১৭ জানুয়ারি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ মুদ্রানীতিতে আগামী জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে সীমিত রাখতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। উদ্দেশ্য ঋণের ব্যয় বাড়িয়ে চাহিদা কমানো।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ হিসাবে মার্চে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। আগামী জুনের মধ্যে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে নতুন মুদ্রানীতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই মুদ্রানীতিতে পলিসি রেট বা রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোর তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা নেয়ার খরচ বেড়েছে। তহবিল খরচ বেড়ে যাওয়ায় ঋণের বিপরীতেও সুদ বাড়াতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। বড় অঙ্কের ঋণের ক্ষেত্রে স্মার্ট সুদ হারের সঙ্গে এখন সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ সুদ যোগ করে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। এতদিন যোগ করত ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লি ঋণের ক্ষেত্রে স্মার্ট সুদ হারের সঙ্গে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ যোগ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। এতদিন যোগ করা হতো ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

এছাড়া শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির কাছ থেকে ঋণ আদায় করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির কাছে পাওনার পরিমাণ ৩০ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। বিপরীতে এ বছর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। কিন্তু বছরের প্রথম ত্রৈমাসিক শেষে আদায়ের পরিমাণ মাত্র ৮.৭ কোটি টাকা।

শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির কাছে সোনালী ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ ৫ হাজার ৮১ কোটি টাকা। এ বছর ব্যাংকটি খেলাপিদের কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও মার্চ শেষে আদায় হয়েছে মাত্র ০.২০ কোটি টাকা।

একইভাবে শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির কাছে সোনালী ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ৯ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯১০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মার্চ শেষে ব্যাংকটি আদায় করেছে ০.৪৫ কোটি টাকা।

শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির কাছে অগ্রণী ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ ৮ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা। এ বছর ৬৮৫ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ব্যাংকটি আদায় করেছে ২ কোটি টাকা।

অবলোপন করা ঋণ থেকেও আদায় করতে পারছে না রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সোনালী ব্যাংকের অবলোপন করা ঋণ থেকে ৫০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মার্চ শেষে আদায় হয়েছে মাত্র ৪ কোটি টাকা।

এ বছরের ডিসেম্বর শেষে জনতা ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩২৪ কোটি টাকা। মার্চ শেষে ব্যাংকটির আদায় হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। একইভাবে অগ্রণী ব্যাংক পুরো বছরে অবলোপনকৃত ঋণ থেকে ৪০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় করেছে ১৪ কোটি এবং রূপালী ব্যাংক ৬০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মার্চ শেষে ৩২ কোটি টাকা আদায় করেছে।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ