ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
বৈশ্বিক অবকাঠামো খাত

শীর্ষে আদানির ক্রেডিট প্রোফাইল

প্রকাশনার সময়: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:১৬

ভারতের ক্রমবর্ধমান ও সর্বোচ্চ-র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকা অবকাঠামোগত পোর্টফোলিও আদানি তাদের বছরের প্রথমার্ধে ক্রেডিট পারফরম্যান্স প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বর্তমান বৈশ্বিক ও ভারতীয় অবকাঠামো খাতে শীর্ষে অবস্থান করছে আদানি ক্রেডিট প্রোফাইল। গত ছয় মাসে, তারা তাদের নিট ঋণের পরিমাণ কমিয়েছে ৩.৬ শতাংশ এবং নগদ রিজার্ভ বাড়িয়েছে ১৩.৭ শতাংশ। যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ প্রথমার্ধের মুনাফা ইবিআইটিডিএ (আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্সেস, ডেপ্রিসিয়েশন অ্যান্ড অ্যামোর্টাইজেশন) ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধিকে নির্দেশ করে।

মোট মুনাফার (ইবিআইটিডিএ) ৮০ শতাংশেরও বেশি চুক্তিভিত্তিক এবং ৬৮ শতাংশ এ প্লাস রেটপ্রাপ্ত। অর্থ্যাৎ, এ চিত্র সর্বোচ্চ স্তরের স্থিতিশীলতা এবং বহু-দশকের নগদ প্রবাহের দৃশ্যমানতা প্রদান করে। বর্তমানে এ নগদ প্রবাহের পরিমাণ ৫.৭৯ লাখ কোটি টাকা (৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। ফলে এই শক্তিশালী নগদ প্রবাহের ওপর ভিত্তি করে সীমাহীন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। মোট সম্পদের ভিত্তির ইক্যুইটি স্থাপনা হলো ৫৯.৮ শতাংশ, যা এ শিল্পখাতের মানদণ্ডের চাইতেও অনেক বেশি। এ ধারা বজায় রেখে একটি বিশ্বমানের অবকাঠামো ও ইউটিলিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে বদ্ধপরিকর আদানি পোর্টফোলিও।

২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষে যেখানে আদানির নিট ঋণ ৩.৩ গুণ ছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে তা কমে হয়েছে ২.৫ গুণ, যা গত ১০ বছরে সর্বনিম্ন। ১ বছরে (টিটিএম) আরআর (রিজার্ভ রেশিও) ইবিআইটিডিএ-এর ক্ষেত্রে নিট ঋণ ২.৮ গুণ থেকে কমে আড়াই গুণ হয়েছে। একইভাবে, ইক্যুইটির নিট ঋণ ২০২৩ অর্থবছরের শেষে ০.৮০ থেকে কমে ০.৬৭ গুণ হয়েছে। পাশাপাশি ২.০২ গুণ থেকে ঋণ পরিশোধের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.১২ গুণ। এছাড়া, নিট ঋণের মোট সম্পদ ২.৩ গুণ থেকে বেড়ে আড়াই গুণ হয়েছে।

সম্পূর্ণ আদানি পোর্টফোলিও জুড়ে তারল্যের পরিমাণ বর্তমানে সর্বোচ্চ। পোর্টফোলিওর নগদ অর্থ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ্যাৎ ৬১,১২১.০১ কোটি টাকা। এটি ছয় মাস আগের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি এবং পরবর্তী ১৮ মাসের দীর্ঘমেয়াদী ঋণ পরিশোধকেও ছাড়িয়ে গেছে।

চলমান ঋণ এবং উচ্চ নগদ ব্যালেন্স সত্ত্বেও, পোর্টফোলিও কোম্পানিগুলো বিনিয়োগের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেছে। আদানির সম্পদের ভিত্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে যার প্রতিফলন ঘটেছে। এই সময়ের মধ্যে পোর্টফোলিওর মোট গ্রোস অ্যাসেট ৬ শতাংশ বা ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ্যাৎ ৩৩,৬১৩ কোটিরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এটি মোট ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ্যাৎ ৫.৯৭ লাখ কোটিতে গিয়ে পৌঁছেছে। আদানির বিভিন্ন ব্যবসায়ের শক্তিশালী নগদ প্রবাহের মাধ্যমে ইক্যুইটি বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ