ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

পোশাক কারখানায় সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ, মামলার নির্দেশ

প্রকাশনার সময়: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৮

দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পের সব ধরনের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ঘোষণা করেছে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ। পাশাপাশি নতুন ন্যূনতম মজুরি কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনরতদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা মালিকদের মামলা করার নির্দেশনা দিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিজিএমইএর নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র তথ্য নিশ্চিত করেছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। সভায় সুনির্দিষ্ট ৪টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য সব কারখানা মালিকদের বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন ফারুক হাসান।

বিজিএমইএ জানিয়েছে, কোভিড অতিমারী পরবর্তী পরিস্থিতি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইসরায়েল- ফিলিস্তিন যুদ্ধ ইত্যাদি কারণে অর্ডার কমে যাওয়া এবং সম্প্রতিককালে শ্রমিক অসন্তোষ, কারখানার কাজ বন্ধ, শ্রমিক-কর্মচারীদের মারধর, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, মালামাল লুটপাট ইত্যাদি জটিল পরিস্থিতির কারণে গত ৯ নভেম্বর বিজিএমইএতে পোশাকশিল্প মালিকদের সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রাক্তন সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি এসএম মান্নান (কচি), এ ছাড়া অন্যান্য সহসভাপতি ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএর চার সিদ্ধান্ত

১। এখন থেকে বাংলাদেশে অবস্থিত সব পোশাকশিল্প কারখানাতে সব ধরনের নতুন নিয়োগ বন্ধ থাকবে। প্রতিটি কারখানার গেটে নিয়োগ বন্ধ কথাটি লিখে ব্যানার টাঙিয়ে দিতে হবে।

২। যেসব কারখানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর বা মারামারির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সে সকল কারখানা কর্তৃপক্ষকে নিকটস্থ থানায় প্রমাণস্বরূপ ছবি ও ভিডিও ফুটেজসহ মামলা রুজু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণের নাম জানা না থাকলে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা রুজু করা যাবে। মামলা করার সাথে সাথে এর একটি কপি মেজর মো. সাইফুল ইসলাম, পিএসসি, সিএসসিএম (অব.), সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব বিজিএমইএর নিকট প্রেরণ করতে হবে।

৩। যেসব কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজ করা থেকে বিরত থাকবে বা কারখানা ছেড়ে বেরিয়ে যাবে, সেসব কারখানার মালিক বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৩(১) এর বিধান মোতাবেক কারখানা বন্ধ করে দেবেন।

৪। যেসব কারখানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর বা মারামারির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সেসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ (যদি থাকে) অতিসত্বর মো. জাকারিয়া, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট বিজিএমইএর নিকট প্রেরণ করতে হবে।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ