ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পোশাক শিল্পে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি

প্রকাশনার সময়: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:৫১

পোশাক শিল্পে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘মর্যাদাপূর্ণ মজুরি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে যৌথ নিয়োগকর্তার দায়বদ্ধতার সামাজিকীকরণের ধারণা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই দাবি জানানো হয়। একই দাবিতে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন হয়।

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস), এশিয়া ফ্লোর ওয়েজ এলায়েন্স, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, গ্রীন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন ও গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগ আয়োজিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কাস ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হোসেন। এতে বক্তব্য দেন এশিয়া ফ্লোর ওয়েজ এলায়েন্স বাংলাদেশের চ্যাপ্টারের আহবায়ক কাজী রহিমা আক্তার সাথী, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সারোয়ার হোসেন, গার্মেন্টস লেবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আক্তার, গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি ইদ্রিছ আলী, নারী প্রগতি সংঘের প্রকল্প সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান প্রমুখ।

পোশাক শিল্পকে শ্রমিকবান্ধব করতে ও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সচল রাখতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন। ওই দাবিনামায় বলা হয়, বেসিক মজুরি ৬৫ শতাংশ রেখে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে। প্রতিবছর মোট বেতনের ১০ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। ৭টি গ্রেডের পরিবর্তে ৫টি গ্রেড ও আনুপাতিকহারে সকল গ্রেডে সমান হারে মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। সোয়েটার শ্রমিকদের বেসিক ৩নং গ্রেডে নির্ধারণ করতে হবে। আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে ডিসেম্বর থেকে তা সকল গার্মেন্টস কারখানায় বাস্তবায়ন করতে হবে। কারখানাভিত্তিক রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

সভায় বক্তারা বলেন, বিপর্যয়কর অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জীবন ও স্বাস্থ্যের চরম ঝুঁকি নিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেও গার্মেন্ট শ্রমিকসহ অন্যান্য সকল শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ বর্তমানে না খেয়ে মরতে বসেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকৃত আয় অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। জীবনযাপন ব্যয় অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে কোনোভাবেই বেঁচে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। দুঃখ-দুর্দশার কথা বলতে গেলেই চাকরিচ্যুত করে ন্যায্য পাওনা না দিয়ে কখনো আইনের অপব্যবহার করে আবার কখনো আইনের তোয়াক্কা না করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

শ্রমিকরা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ কর্তৃক অনলাইন ডাটাবেইস পদ্ধতিতে জালিয়াতির মাধ্যমে গার্মেন্টস সেক্টরের চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের কোথাও যাতে চাকরি না হয়, এমন অমানবিক নিষ্ঠুর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ