ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখতে ঢাকায় আসছে আইএমএফ মিশন

প্রকাশনার সময়: ২৪ এপ্রিল ২০২৩, ২০:৩৫
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল বাংলাদেশকে দেওয়া ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ব্যবহার এবং দ্বিতীয় কিস্তির ৭০ কোটি ৪০ লাখ ডলার দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকায় আসছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র সোমবার (২৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি জানায়, ঢাকায় আসা প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন আইএমএফ-এর এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ। দলটিতে ৩ থেকে ৪ সদস্য থাকতে পারেন।

সূত্র জানায়, আগামীকাল ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে ২ মে মঙ্গলবার পর্যন্ত আইএমএফ দল বাংলাদেশ সফর করবে। এ সময় তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, সফরকালে সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইএমএফ টিমের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবে।

গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ কর্তৃক অনুমোদিত ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের মধ্যে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলারের প্রথম কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে ৩ বছরে ৭টি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করা হবে। সেই হিসেবে বাংলাদেশের জন্য আইএমএফ-এর এই ঋণের আরো ছয় কিস্তি বাকি রয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আইএমএফ সাধারণত প্রতিটি ধাপ বিতরণের আগে সম্মতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে। এ কারণে, আইএমএফ’র একটি দল আসছে দ্বিতীয় ধাপ বিতরণের আগে ঋণের শর্ত পূরণের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করতে।

সাধারণত প্রতিটি বাজেট ঘোষণার আগে, একটি আইএমএফ মিশন বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসে। যেহেতু ঋণ কার্যক্রম চলছে, বাজেট সহায়তার পাশাপাশি ঋণের শর্ত পূরণের বিষয়গুলোও আলোচনায় আসবে। আইএমএফ-এর ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যাতে আইএমএফ দ্রুত ছাড় করে সে জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হবে। আইএমএফ ইতিবাচক সাড়া দেবে বলে আশা করছে সরকার। কেননা, আইএমএফের কথামতো আর্থিক খাতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংস্কার করা হয়েছে।

আইএমএফ এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) এবং এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) এর অধীনে প্রায় ৩৩০০ কোটি ডলার এবং রেজিলেন্স এন্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি ফর বাংলাদেশ’র অধীনে প্রায় ১৪০০ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফ থেকে ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের প্রথম কিস্তি পায়।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ