সিলেটে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে কুড়িগ্রামে বাঁধাকপি ও ফুলকপির জোড়া ১০ টাকা। তবু ক্রেতা পাচ্ছেন না বিক্রেতারা।
কুড়িগ্রাম : জেলার যাত্রাপুর হাটে বাঁধাকপি ও ফুলকপির জোড়া বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। এখানে প্রতি পিচ বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন চাষিরা।
কুড়িগ্রাম থেকে বিভিন্ন প্রকার আবাদি সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যায়। জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, জেলায় বিভিন্ন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমি। তবে অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে।
স্থানীয় এক চাষি জানান, তিনি জমি থেকে তুলে প্রায় সাড়ে ৪শ বাঁধাকপি বিক্রি করতে হাটে নিয়ে এসেছেন। দাম দিয়েছি প্রতি পিস পাঁচ টাকা তাও ক্রেতা সংকট। আমরা এক বিঘা জমিতে বাঁধাকপির আবাদ করছি।
এক ব্যবসায়ী বলেন, এক কৃষকের ফুলকপির ক্ষেত কিনেছি। ১ হাজার ফুলকপি নিয়ে আসছি হাটে ক্রেতা একেবারে কম। জোড়া ১০ টাকা করে দিয়েছি তাও ক্রেতা নেই।
অন্যদিকে সিলেটে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা কেজিতে। তবে চাষিদের বিক্রি করতে হচ্ছে দুই থেকে তিন টাকা কেজিতে।
সিলেটের টুকের বাজারে প্রতিদিন ভোরে বসে সবজির হাট। এই হাটে বিক্রির জন্য সিলেট শহরতলিতে উৎপাদিত টাটকা সবজি নিয়ে আসেন চাষিরা। সিলেট ও সুনামগঞ্জের পাইকারি বিক্রেতারা এখান থেকে বিক্রির জন্য সবজি সংগ্রহ করেন।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) টুকের বাজারে চাহিদা কমে যাওয়া টমেটো ৫ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করতে পারছিলেন না চাষিরা। একইভাবে শিম ১৫ টাকা, ফুলকপি ৮ টাকা, বাঁধাকপি ৭ টাকা, বেগুন ১৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। চাহিদা কমে আসায় লোকসান গুনছেন বলে জানান চাষিরা।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ