টানা ১৪ বার সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন পুরান ঢাকার হাকিমপুরী জর্দার মালিক ও ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়া। সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে মো. কাউছ মিয়ার পাশাপাশি খাজা তাজমহল, ফজলুর রহমান, এম সাহাবুদ্দিন আহমেদ ও ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার বদরুল হাসানকে সেরা করদাতা নির্বাচিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) এনবিআরের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২০২১-২২ করবর্ষে ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সেরা করদাতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর ট্যাক্স কার্ড-প্রাপ্তদের সেরা করদাতা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ অধিশাখা-২ (কর) এর সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসুর সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২১-২২ করবর্ষে ‘সিনিয়র সিটিজেন বা বয়স্ক নাগরিক’ শ্রেণিতে সেরা করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন জর্দা ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়া। আগের কয়েক বছর অবশ্য তিনি ব্যবসায়ী শ্রেণিতে সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। এমনকি গত বছর মুজিব বর্ষের সেরা করদাতাও হয়েছিলেন কাউছ মিয়া। গত বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাকে এই সম্মাননা দিয়েছিল।
চাঁদপুর জেলার রাজরাজেশ্বর গ্রামে (ব্রিটিশ আমলের ত্রিপুরা) ১৯৩১ সালের ২৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন কাউছ মিয়া। বাবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ১৯৫০ সালে চাঁদপুরের পুরান বাজারে মুদি দোকান দেন। পরে ধীরে ধীরে ১৮টি ব্র্যান্ডের সিগারেট, বিস্কুট ও সাবানের এজেন্ট ছিলেন। এরপর ২০ বছর তিনি চাঁদপুরেই ব্যবসা করেন। ১৯৭০ সালে নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন এবং তামাকের ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে প্রথম কর দেন তিনি।
১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকারের সময় প্রথমবারের মত শীর্ষ করদাতা হন কাউছ মিয়া। গত গত ৬১ বছর যাবত কর দিয়ে আসছেন তিনি। ২০০৮ সাল থেকে তিনি দেশে ব্যবসায়ী শ্রেণিতে সর্বোচ্চ করদাতাদের একজন। এছাড়াও মুজিববর্ষের সেরা করদাতা হিসেবেও বিশেষ সম্মাননা পান তিনি। বর্তমানে ৪০-৪৫ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনি। তবে তার মূল ব্যবসা তামাক বেচাকেনা।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ