লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না করা বাণিজ্যিক ব্যাংককে জরিমানা করা করা হয়। এ জরিমানার অর্থ দিয়ে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কমন ফান্ড (বিবিএডিসিএফ)’ নামে নতুন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কৃষি ও পল্লী ঋণ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বিতরণ করতে না পারলে অবশিষ্ট অর্থ এই ফান্ডে জমা রাখতে হবে। অর্থাৎ কোনো ব্যাংক যদি ১০০ টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে, আর বছর শেষে যদি ৮০ টাকা বিতরণ করে, তাহলে অবশিষ্ট ২০ টাকা বিবিএডিসিএফ এ জমা করতে হবে। কৃষি খাতে ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোকে এ অর্থ দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
চলতি বছরের ২৮ জুলাই জারি করা ২০২২-২৩ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার ‘কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক পরিপত্রের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর বার্ষিক কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার অনর্জিত অংশ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে বিনিয়োগের লক্ষ্যে বিবিএডিসিএফ ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ফান্ড পরিচালনার জন্য নীতিমালাও জারি করা হয়েছে। এগুলো হলো—
বিবিএডিসিএফে জমা করা অর্থ ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী সক্ষমতার ভিত্তিতে বরাদ্দ করা হবে। বরাদ্দ প্রাপ্তির সর্বোচ্চ ১৮ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে ২ শতাংশ হারে সুদসহ আসল পরিশোধ করতে হবে।
ব্যাংকগুলোর অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী ৮ শতাংশ সুদ হারে কেবলমাত্র নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে (এমএফআই লিংকেজ ব্যতীত) কৃষি ও পল্লী ঋণ হিসেবে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করতে হবে।
ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকগুলোর ঋণ ঝুঁকি হ্রাসকল্পে বিবিএডিসিএফ হতে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণকৃত ঋণের ১ শতাংশ সুদের সমপরিমাণ অর্থ জমা করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে রিস্ক মাইগ্রেশন ফান্ড গঠন করতে হবে।
বিবিএডিসিএফ হতে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করা ঋণের ১ শতাংশ সুদের সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের স্থিতিপত্রের কমন ইকুইটি টায়ার ১ মূলধনের উপাদান জেনারেল রিজার্ভ হিসাবের একটি খাত হিসেবে প্রদর্শনপূর্বক যথাযথভাবে ডিসক্লোজার প্রদান করতে হবে।
বিবিএডিসিএফ থেকে বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে আদায় করা সুদের অবশিষ্ট ৪ শতাংশ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক আয় খাতে স্থানান্তর করতে পারবে।
এই নির্দেশনা চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর হতে কার্যকর হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা প্রদান করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ