ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জরিমানার টাকায় কৃষিঋণ তহবিল গঠন

প্রকাশনার সময়: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৫৫

লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না করা বাণিজ্যিক ব্যাংককে জরিমানা করা করা হয়। এ জরিমানার অর্থ দিয়ে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কমন ফান্ড (বিবিএডিসিএফ)’ নামে নতুন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কৃষি ও পল্লী ঋণ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বিতরণ কর‌তে না পার‌লে অব‌শিষ্ট অর্থ এই ফান্ডে জমা রাখতে হবে। অর্থাৎ কো‌নো ব্যাংক য‌দি ১০০ টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক ক‌রে, আর বছর শে‌ষে য‌দি ৮০ টাকা বিতরণ ক‌রে, তাহ‌লে অব‌শিষ্ট ২০ টাকা বিবিএডিসিএফ এ জমা কর‌তে হ‌বে। কৃ‌ষি খা‌তে ঋণ দি‌তে ব্যাংকগুলোকে এ অর্থ দে‌বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

চল‌তি বছ‌রের ২৮ জুলাই জারি করা ২০২২-২৩ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার ‘কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক পরিপত্রের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর বার্ষিক কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার অনর্জিত অংশ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে বিনিয়োগের লক্ষ্যে বিবিএডিসিএফ ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নি‌য়ে‌ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ফান্ড পরিচালনার জন্য নীতিমালাও জা‌রি করা হ‌য়ে‌ছে। এগুলো হলো—

কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ ব্যাংকসমূহের লক্ষ্যমাত্রার অনর্জিত অংশের সমপরিমাণ অর্থ বিবিএডিসিএফে জমা রাখতে হবে। অর্থ জমাদানকারী ব্যাংক জমাকরা অর্থের উপর ২ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিবিএডিসিএফে জমা করা অর্থ ব্যাংকগু‌লোর চাহিদা অনুযায়ী সক্ষমতার ভিত্তিতে বরাদ্দ করা হবে। বরাদ্দ প্রাপ্তির সর্বোচ্চ ১৮ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে ২ শতাংশ হারে সুদসহ আসল পরিশোধ করতে হবে।

ব্যাংকগুলোর অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী ৮ শতাংশ সুদ হারে কেবলমাত্র নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে (এমএফআই লিংকেজ ব্যতীত) কৃষি ও পল্লী ঋণ হিসেবে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করতে হবে।

ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকগুলোর ঋণ ঝুঁকি হ্রাসকল্পে বিবিএডিসিএফ হতে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণকৃত ঋণের ১ শতাংশ সুদের সমপরিমাণ অর্থ জমা করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে রিস্ক মাইগ্রেশন ফান্ড গঠন করতে হবে।

বিবিএডিসিএফ হতে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করা ঋণের ১ শতাংশ সুদের সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের স্থিতিপত্রের কমন ইকুইটি টায়ার ১ মূলধনের উপাদান জেনারেল রিজার্ভ হিসাবের একটি খাত হিসেবে প্রদর্শনপূর্বক যথাযথভাবে ডিসক্লোজার প্রদান করতে হবে।

বিবিএডিসিএফ থে‌কে বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে আদায় করা সুদের অবশিষ্ট ৪ শতাংশ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক আয় খাতে স্থানান্তর করতে পারবে।

এই নির্দেশনা চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর হতে কার্যকর হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা প্রদান করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ