রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য ইউরোপের বাজারে রফতানি বেড়েছে ১৬.২৭ শতাংশ। তবে একই সময়ের মধ্যে পোল্যান্ডে বছরওয়ারী রফতানিতে ১৯.৬১ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ইপিবির তথ্য মতে, এই সময়ের মধ্যে (জুলাই-নভেম্বর ২০২২-২৩) ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের পোশাক রফতানি ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন থেকে ৯ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় বাজার, জার্মানিতে পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি ২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। স্পেন এবং ফ্রান্সেও রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ৩৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ইউরোপিয় ইউনিয়নের অন্যান্য প্রধান দেশগুলো যেমন- ইতালি, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং সুইডেনে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ৪৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং ২২ দশমিক ৯০ শতাংশ।
উল্লিখিত সময়ের মধ্যে পোল্যান্ডে বছরওয়ারী রফতানিতে ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি ছিল ৩ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার কারণে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।
এছাড়াও, যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় আমাদের রফতানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে, অপ্রচলিত বাজারে রফতানি ২দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
জুলাই-নভেম্বর ২০২২-২৩ সময়ে প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপানে আমাদের রফতানি ৫৯৭ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৮ দশমিক ১১ শতাংশ। উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য অপ্রচলিত বাজারগুলো হলো মালয়েশিয়া ১০০ দশমিক ২১ শতাংশ, মেক্সিকো ৪৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ভারত ৪৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ব্রাজিল ৪৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া ৩০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল গণমাধ্যকে বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে বৃহৎ দেশগুলোতে আমাদের রফতানিতে উৎসাহব্যঞ্জক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ