তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় জেলায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডার মাত্রা কমেনি মোটেও। ফলে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে এ এলাকার মানুষ। তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে জেলার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ। এলাকার বিভিন্ন মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। এ মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় সদর হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোটাভাইরাস জনিত কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে ৩ শতাধিক বয়োবৃদ্ধ চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া প্রতিদিন ৩/৪শ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে।

ভ্যানচালক আনোয়ারুল হক জানায়, প্রচণ্ড ঠান্ডায় হাত ও পায়ের পাতা বরফ হয়ে যাচ্ছে। সংসার চালাতে বাড়ি থেকে বের হলেও প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাচ্ছে না। হালকা বাতাসে পুরো শরীর কাঁপছে। এ রকম আরও কয়েকদিন হলে সকালে কাজে বের হওয়া যাবে না।

আলমগীর হোসেন নামে একজন হোটেল কর্মচারি জানান, প্রতিদিন সকালে নাশতার জন্য হোটেলে প্রচুর চাপ থাকে। এজন্য ফজরের আজানের পর থেকেই কাজ করতে হয়। ভোরে পানিতে হাত দিলে মনে হয় অবশ হয়ে যাচ্ছে। আঙ্গুলগুলো নাড়ানো যাচ্ছে না। তারপরও কাজ করছি।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল হক জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। এটাই জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে যা আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত থাকতে পারে।

নয়াশতাব্দী/এমএস