পটুয়াখালীতে একই বাড়ির দুই পরিবারের প্রায় ১০ জন মানুষকে চেতনা নাশক ঔষধ প্রয়োগ করে লক্ষাধিক টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের ধরান্দী গ্রামের দত্ত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্বপন দাস(৩৮), সঞ্জীব দাস(৪৮), বিনা রানী দাস(৭০), শেফালী রানী দাস(৬৫), চায়না রানী দাস (৪০), সূর্য দাস(১৪), নামের মোট ৬ জন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছে অহনা দাস (১৩), রিনা দাস(৩০), অনুরাগ (৭) ও পাপন দাস (১৯) সহ মোট চার জন।
ভুক্তভোগী স্বপন দাস বলেন, আমরা গত (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের ৪ থেকে ৫ জন একসাথে ভাত খাই। এরপর বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার প্রস্তুতি নিতে গেলে ঘরের সবাই হঠাৎ করে ঘুমে কাতর হয়ে পরি। এসময় আমার বাচ্চা অনুরাগ বারবার বমি করার চেষ্টা করে। আমার শরীরটা খুব খারাপ লাগে এইসব দেখে সন্দেহ হয় তাই আমার মায়ের বিছানার নিচে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা লুকিয়ে রাখা ছিলো সেটা চেক করে দেখি টাকাটা নেই। পরে আমি ডাকাডাকি করলে বাড়ির লোকজন আসে এরপর আমার আর কিছু মনে নেই।
আর এক ভুক্তভোগী সঞ্জীব দাসের আপন ছোট ভাই সঞ্জয় দাস জানান, তিনি গত বুধবার রাতে তার বাসায় ফোন দিলে তার ঘরের কেউ ফোন ধরেনি। কিছুক্ষণ পর তিনি জানতে পারেন তাদের ঘরের পাশে কাকাত ভাইদের ঘরে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের ঘরের কেউ সেসব শুনেও ঘুম থেকে উঠছে না দেখে বাড়ির অন্যান্য সবাই তাদের ডাকাডাকি করলে তারা কোন উত্তর দেয় না দেখে ঘরের দরজা ভেঙে সাবাইকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায়। পরে বাড়ির সবাই দুই ঘরের বেশি অসুস্থ ছয় জনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার এক দিন আগে একই এলাকার জাহাঙ্গীর মুন্সির বাড়িতে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এসময় তাদের ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে অজ্ঞান পার্টি। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর মুন্সি ও তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। বর্তমানে তারা পটুয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার কোন অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ