গৃহকাজে নিয়োজিত (গৃহকর্মী) শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে সচেতনতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি)’ আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তারা বলেছেন, জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে শিক্ষার্থীরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই সারাদেশের শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিশু সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। এএসডি’র নির্বাহী পরিচালক এম এ করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন উন্নয়র সংস্থা ‘আঁলিয়স ফ্রঁসেস’ ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোঁঞ্জ, ডেভেলপমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যাট হাই রিস্ক (ডিসিএইচআর) প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ইউ কে এম ফারহানা সুলতানা, এএসডি’র কর্মসূচি পরিচালক মো. হামিদুর রহমান ও প্রজেক্ট অফিসার গুল-ই-জান্নাত জেনী প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুদের অধিকার বিষয়ে শিক্ষার্থীদেরকে আরো সচেতন করে তুলতে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের রচনা লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ‘গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশু আমার ভাবনা’ শীর্ষক ওই প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে ৫শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেরা ১০জনকে পুরষ্কৃত করা হচ্ছে।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শিশু সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, ব্যাতিক্রমধর্মী এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আজকের শিশুরাই দেশের ভবিষ্যত। এই শিশুরা গৃহকর্মীদের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। গৃহকর্মী শিশুদেরকে নিয়ে শিশুরা যে রচনা লিখেছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তাদের লেখায় এ বিষয়ে গভীর চিন্তাভাবনা ও বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ মিলেছে। এধরণের আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এএসডি ১৯৮৮ সাল থেকে দেশের হতদরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের উন্নয়নের লক্ষ্যে এএসডি ২০১২ সাল থেকে ‘ডেভেলপমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যাট হাই রিস্ক (ডিসিএইচআর)’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহার করে শিক্ষার মূলধারায় সম্পৃক্ত করা, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বয়সভিত্তিক ঝুঁকিমুক্ত কাজে নিয়োগ দেওয়া, শিশুদের জন্য বিশ্রাম ও বিনোদন এবং রাত্রিকালীন আবাসনের ব্যবস্থাসহ শিশু উন্নয়নে নানাবিধ সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ