প্রায় ৫ বছর আগে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে পড়েন পঞ্চগড় জেলার মানসিক ভারসাম্যহীন নারী আমেনা বেগম। এরপর পথে পথে চলতে চলে আসেন মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায়। অসুস্থ অবস্থায় আমেনা বেগমকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে আমেনা বেগমকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে জুড়ী থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রায় পাচ বছর ধরে নিখোঁজ ছিল পঞ্চগড় জেলার মানসিক ভারসাম্যহীন এই নারী। অস্বাভাবিক অবস্থায় আমেনা বেগমকে উদ্ধার করে জুড়ী হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। আমেনা বেগমের সাথে কথা বলে তার পরিবারের ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করা হয়। পরে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাকে তার অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ০৫ বছর পর স্বামী তার স্ত্রীকে এবং সন্তান তার মাকে ফিরে পেলে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমেনা বেগমের পরিবার জুড়ী থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুয়েল উদ্দিন বলেন, গত রাতে আমার ইউনিয়নের দুর্ঘাপুর গ্রামের মানুষ একজন অজ্ঞাত মহিলাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। পরে আমাকে তারা খবর দেন। আমি এসে মহিলার সাথে কথা বলে তার পরিবারের তথ্য নেই। মহিলাটি অসুস্থ থাকায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সন্ধান চেয়ে পোস্ট করা হয়। এরপর পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করাই পুলিশের লক্ষ্য। আজ আমাদের সামান্য সহযোগিতায় সন্তান তার মাকে ফিরে পেল। এই মহৎ কাজে সহযোগিতা করার জন্য জুড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ও পূর্ব জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ