অল্প ও সহজ মুনাফা আর বেশি টাকা বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের হতদরিদ্র নারী পুরুষদের নিকট থেকে মাঠ পর্যায়ের টাকা তুলে হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে একটি বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিডিএস নামে একটি সমিতি।
জানা গেছে, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (সিডিএস) কর্মকর্তারা প্রায় ১শ’র অধিক গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করে চলে গেছেন। প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে ১০-৭০ হাজার টাকা করে তারা নিয়েছেন। আনুমানিক ২৫ লাখ টাকা নিয়ে এ সমিতির লোকজন উধাও হয়েছেন বলে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ।
কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (সিডিএস) গভ: রেজি : নং-এস-১০২৩২ (৭৯৫)/২০০ইং পাশ বইয়ে টাইপ করে ব্যবহার করছেন। অপর দিকে তারা পাশ বইয়ের ডানপাশে গোল আকৃতির সিলে আরেকটি রেজিঃ নম্বর ব্যবহার করেছেন। যাহা হলো-গভ. রেজি: নং-৯৮৫৬ (৭৮৫) ২০০৯ইং।
ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের দেওয়ান বাজার এলাকায়।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সমিতির অফিসের সামনে এসে গ্রাহকের উপস্থিতি দেখা যায়। এ সময় গ্রাহকরা সমিতির অফিসারদেরকে কল দিয়ে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। সমিতিটি অবস্থান নিয়েছিল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড দেওয়ান বাজার আউটলেটের নিচতলায় ভাড়াটিয়া দুইটি রুমে।
এ ব্যাপারে গ্রাহকরা জানান, গত ৩ ডিসেম্বের শনিবার থেকে গত ১২ ডিসেম্বর সোমবার পযর্ন্ত সমিতির লোকজন মাঠে ঘুরেফিরে গ্রাহক সৃষ্টি করাসহ গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছেন। সমিতির ৪ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঋণের বিষয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষদেরকে বুঝান এবং গ্রাহক সৃষ্টি করেন। সহজ মুনাফায় তাদেরকে ঋণ দেয়া হবে এ মর্মে গ্রাহক বানান। গ্রাহক ভর্তি ফি প্রথম পর্যায়ে নেয়া হয় ২শ’ টাকা করে। এ সময় একটি করে পাশ বই প্রদান করেন সমিতির লোকজন। পরে প্রতি লাখে ১০ হাজার টাকা জামানত হিসেবে সমিতির লোকজন গ্রাহকদের নিকট থেকে গ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সমিতি থেকে গ্রাহকদেরকে ঋণ দেয়ার কথা থাকলে গ্রাহকরা অফিসে এসে অফিস তালাবন্ধ দেখতে পায়। এসময় সমিতির অফিসারদেরকে মুঠোফোনে কল দিলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পান গ্রাহকরা। এ নিয়ে এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিল্ডিংয়ের মালিক হোসাইন মোহাম্মদ দুলাল জানান, গত শনিবার (১০ ডিসেম্বের) সমিতির লোকজন তার সাথে দেখা করে রুম ভাড়া নিতে প্রস্তাব দেন। পরে তিনি রুম ভাড়া দিতে সম্মত হয়েছেন। কিন্তু ২/১ দিন পর তারা ভাড়াটিয়া রুমের এগ্রিমেন্ট করার কথা ছিল। এর আগে তারা চলে গেছেন এমনটা অনেক গ্রাহকের ফোনে মাধ্যমে তিনি জেনেছেন।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) বিমল কর্মকার বলেন, এ ঘটনায় এখনো পযর্ন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেননি। যদি কেউ অভিযোগ দেন তাহলে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ