ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

গাইবান্ধায় সরকারি কোয়ার্টার এখন মাদকের আখড়া

প্রকাশনার সময়: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ২১:২৯

গাইবান্ধা শহরের আদর্শ কলেজ সড়কে অবস্থিত সরকারি গেজেটেড অফিসার্স কোয়ার্টারটি এখন মাদক সেবন ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

প্রায় ২০ বছর ধরে সেখানে কেউ বসবাস না করায় অফিসার্স কোয়ার্টারের ভবনগুলো অযত্ন-অবহেলায় এখন অনেকটাই জরাজীর্ণ হয়ে পরেছে। চুরি হয়ে যাচ্ছে ভবনের দরজা-জানালা, গ্রিল, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনসহ গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ও যন্ত্রপাতি। অথচ কোটি টাকার সরকারি সম্পদ নষ্ট হলেও এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত প্রশাসন কিংবা গণপূর্ত বিভাগ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

গণপূর্ত বিভাগ ১৯৮৬ সালে সাড়ে ৫ একর জমির ওপর গাইবান্ধা শহরের বাংলাবাজার এলাকায় জেলার গেজেটেড অফিসারদের বসবাসের জন্য ৪টি ব্লকে ৩টি দ্বিতল ও একটি তিনতলা ভবন নির্মাণ করে। এসব ভবনের নাম দেয়া হয় সবিতা, ললিতা, ববিতা ও উত্তরা। শুরুতে সব কটি ব্লকেই বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা বসবাস করায় কোলাহলে মুখরিত হয়ে থাকত কোয়ার্টারগুলো।

গেজেটেড অফিসার্স ডরমিটোরি, সার্কিট হাউস, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো এবং বিভিন্ন বিভাগের নিজস্ব রেস্ট হাউসে কর্মকর্তারা থাকতে শুরু করলে এ অফিসার্স কোয়ার্টারটি ফাঁকা হতে শুরু করে। ২০০১ সালের দিকে এটি একেবারেই বসতি শূন্য হয়ে যায়। আর এই সুযোগে অফিসার্স কোয়ার্টারটি দিনে দিনে মাদকসেবি ও মাদক বিক্রেতাদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়। সেইসঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয়দের প্রতিনিয়ত লজ্জায় পড়তে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সিজার সিদ্দিক জানান, দীর্ঘদিন কেউ না থাকায় স্টাফ কোয়ার্টারগুলোতে ঝোপজঙ্গল গজিয়ে উঠেছে। গণপূর্ত বিভাগের গাফিলতি ও দেখভালের অভাবে বহিরাগতরা এসব ভবনের দরজা-জানালা, গ্রিল, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের যন্ত্রপাতিসহ ইট খুলে নিয়ে যাচ্ছে। চুরি হয়ে যাচ্ছে সরকারের কোটি টাকার সম্পদ। তাছাড়া মাদকদ্রব্য ব্যবহারসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে মহল্লায় বসবাসের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

ওই এলাকার আব্দুস সোবহান জানান, পরিত্যক্ত ভবনগুলো হয়ে উঠেছে অপরাধের অভয়ারণ্য। দিনে ছিনতাই ও সন্ধ্যা হলেই সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডা এবং সঙ্গে চলে জমজমাট মাদক ব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ড।

গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান সরকারের কাছে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান নয়া শতাব্দীকে জানান, বিষয়টি তিনি অবগত ছিলেন না। দ্রুত খোঁজ নিয়ে সরকারি সম্পদ রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ