ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কলেজ ভবনে প্রতিষ্ঠাতার কার্যালয়, চলে গ্রাম্য সালিশ

প্রকাশনার সময়: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:০৩ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:০৯

বরগুনার আমতলীর ইউনুস আলী খান ডিগ্রি কলেজ ভবনের একটি কক্ষ ওই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ ইউনুস আলী খান ব্যক্তিগত অফিস হিসেবে দখল করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজের নামে নামফলক বানিয়ে গ্রাম্য সালিশও সারেন এখানে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হয়।

জানা গেছে, উপজেলা গুলিশাখালী ইউনিয়নে মহিষকাটা সংলগ্ন ইউনুস আলী খান ডিগ্রি কলেজটি ১৯৯৪ সালের ২৯ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে একেএম ইউনুস আলী খান অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়ে ২০১৯ সালে অবসরে যান। অবসরে যাওয়ার পর তিনি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। তখন ওই কলেজের ৪র্থ তলা ভবনের ৩য় তলায় একটি কক্ষে সভাপতির কার্যালয় লিখে সেখানে এলাকার সালিশ করতে থাকেন।

এতে ৩য় ও ৪র্থ তলায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী।

তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক জালিয়াতির অভিযোগ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্কুলার মতে এসএসসি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত যে কোনো একটিতে তৃতীয় বিভাগ থাকলে সে অধ্যক্ষ হতে পারবে না। কিন্তু তিনি কলেজটিতে জামাতপন্থি শিক্ষক হিসেবে পরিচিত মো. জাকারিয়াকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন।

ওই বিষয়ে কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মো. দলিল উদ্দিন বলেন, গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আমি কলেজটির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্বে ছিলাম। ওই সময় একেএম ইউনুস আলী খান প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র আমার কাছে হস্তান্তর বা প্রদান করেনি। তিনি শুধুমাত্র হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা ছাড়া আমাকে কলেজের কোনো কাজ করতে দেয়নি। কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এখনো তার কাছেই রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অবসরে যাওয়ার পরে প্রথমে তিনি সভাপতি আর বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠাতার কার্যালয় লিখে কলেজ ভবনের ৩য় তলার একটি কক্ষ দখল করে এলাকার সালিশ করছেন। অথচ কলেজের শিক্ষকরা বসেন একটি ভাঙাচোরা টিনশেড ভবনে।

আলহাজ মো. ইউনুস আলী খানের সকল অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা বিভাগ ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান এলাকাবাসী, অভিভাবক, শিক্ষকবৃন্দ ও অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা।

আলহাজ মো. ইউনুস আলী খানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে হলে অনিয়ম ও জালিয়াতির বিষয়টি অস্বীকার করে ‘আমি ওই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছি’ বলে সংযোগ কেটে দেন।

কলেজ পরিচালনা পরিষদের বর্তমান সভাপতি মো. মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, আমি সম্প্রতি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি জেনে তারপর ব্যবস্থা নেব।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ