ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গাঁজা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন মাছুম

প্রকাশনার সময়: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৩১

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে দুই শিক্ষার্থীকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসাতে না পেরে মারধরের ঘটনায় মূলহোতা মাছুম (৩০)কে আটক করেছে হরিরামপুর থানা পুলিশ।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হরিরামপুর থানা ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম। আটককৃত মাছুম নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর এলাকার শামসুদ্দিনের ছেলে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতেই এ ঘটনায় হরিরামপুর থানার ২ কনস্টেবল আব্দুল জব্বার ও লতিফকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতেই দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার এবং আহত শিক্ষার্থী নিজাম উদ্দিনের সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব নেন মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

হরিরামপুর থানা ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আহত শিক্ষার্থী নিজাম উদ্দিনের মা মাছুম ও মামুনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার মূল আসামি মাছুমকে এস আই মুরাদ ও এ এস আই শহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে রোববার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে আটক করা হয়েছে। আজ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। অপর আসামি মামুনকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

প্রশঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের আন্ধারমানিক পদ্মা নদীর পাড়ে গেলে মাসুম (থানার বাজার করে) এবং আন্ধারমানিক গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে মামুন (ইজি বাইক চালক) দুই শিক্ষার্থীকে গাঁজা দিয়ে পুলিশের সহায়তায় আটকের চেষ্টা করে।

এসময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী প্রবাসী আন্ধারমানিক গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৪) এবং দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী পিয়াজচর গ্রামের নৈমদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিন (২৫) প্রতিবাদ করলে মাসুদ ও মামুন তাদের মারধর করে। তারা ফোন করে পুলিশের ২ সদস্য আব্দুল জব্বার ও লতিফকে ডেকে আনে।

এসময় ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ সদস্য জব্বার নিজাম উদ্দিনকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং বাঁশ দিয়ে বেধরক মারধর করে। এছাড়াও পুলিশের অপর সদস্য লতিফ ফয়সালকে মারধর করে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ