একটি প্রভাবশালী ভূমি দস্যুচক্র জোর করে কৃষকের ফসলি জমি রাতের আঁধারে পুকুরে পরিণত করছে। এভাবেই অনেক কৃষকের স্বপ্ন বিলিন হয়ে যাচ্ছে। জমির পাশে দাঁড়িয়ে কান্না করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকছে না অসহায় কৃষকদের। এমন একজন ভুক্তভোগী সাজনপুরের ইয়াকুব খান।
ষাটোর্ধ্ব কৃষক ইয়াকুব খান জানায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের সাজনপুর মৌজায় তার একখন্ড কৃষি জমি ছিল। এই জমিতে ধানসহ মৌসুমী ফসল উৎপাদন করে স্ত্রী-সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। মহিষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অরুন হাওলাদার ও তার ভাই নান্টু হাওলাদার মিলে কৃষকের সেই জমিটি পুকুর করার প্রস্তাব করে। কৃষক ইয়াকুব খান তাদের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় রাতের আঁধারে জমিটি ভ্যাকু মেশিন দিয়ে কেটে পুকুরে পরিনত করে। এক রাতেই কৃষক ইয়াকুবের স্বপ্ন চুরমার হয়ে পুকুরে পরিণত হয়েছে।
কৃষক ইয়াকুব বলেন, বিকেলে দেখে গেলাম ফসলি জমি। সকালে এসে দেখি পুকুর। আমার সাথে প্রভাবশালী মহলটি খুব খারাপ করেছে। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এখন কি করব। তাদের মুখে খাবার দিব কোত্থেকে? আমি কি এর বিচার পাব না?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানায়, বিকেলের আলোতে এখানে জমি ছিল। রাত হতেই ভ্যাকু মেশিন লাগিয়ে সারারাত জমি খনন করে। ভোরে দেখি ফসলি জমি পুকুরে পরিণত হয়ে গেছে।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান অরুন হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখব আসলে কি হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ