ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খাটিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান! 

প্রকাশনার সময়: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৪৫ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৫৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে খাটিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান৷ এতে পাঠদানকালে শ্রেণিকক্ষে আতংকিত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ২৮নং খাটিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে আছে। টিনচালা আধাপাকা বিল্ডিংয়ের টিনে ধরেছে ঝংকার, নষ্ট হয়ে ভেঙে ভেঙে পড়ছে কাঠ। দেয়ালে ফাটল ধরেছে। দরজা- জানালা ভাঙ্গাচোরা। বৃষ্টি হলে পড়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

জানা গেছে, ৩৩ শতক জায়গার উপর ১৯৪১ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭৮ সালে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট আধাপাকা টিনচালা একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে যে ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল সে ভবনটি বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।

অপর দিকে ২০০৬-২০০৭ অর্থ বছরের পিইডিপি- ২ অর্থায়নে ২ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হলেও সেই ভবনের ছাদ দিয়েও পানি পড়ে। বিল্ডিংয়ের ভেতর অংশের ছাদের উপরের আস্তর খসে পড়েছে।

এ দিকে হরষপুর-সিঙ্গারবিল সড়ক সংলগ্ন হওয়ায় বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় লোকজন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দসহ সবাই বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের দাবি জানান।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ২৩৭ জন। এরইমধ্যে বালক ৯৯ জন, বালিকা ১৩৮ জন। এছাড়াও ৫ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।

এ দিকে বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ওয়াশরুমের ব্যবস্থা নেই। বিদ্যালয়ে ওয়াশরুম না থাকায় নানা রকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাইবা, সুমাইয়া, শামসুন্নাহার ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাদিয়া, আলবি, রবিউল ও নাঈম বলেন, আমরার স্কুলটা পুরান হয়ে গেছে, মেঘ (বৃষ্টি) আসলে পানি পড়ে। বাতাস আসলে স্কুল ঘরের ছালের(ছাউনির) টিন অনেক শব্দ করে। তখন আমরা অনেক ভয় পাই। আমার স্কুল সড়কের কিনারায় মাঠে খেলতে গেলে বল সড়কে চলে যায়। আমরা স্কুলের বাউন্ডারি হলে আমরা নিরাপদে খেলাধুলা করতে পারতাম। আমরা স্কুলে একটা ভালো বাথরুমও নাই। আমরা স্কুলে একটা নতুন ভবন, বাউন্ডারি এবং স্বাস্থ্যসম্মত একটা বাথরুমের দরকার।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান খান বলেন, আমি বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের বরাবর আবেদন করেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহেনেওয়াজ পারভীন জানান, এ উপজেলা থেকে ৬টি বিদ্যালয়ের নাম নতুন ভবনের জন্য পাঠিয়েছি, চাহিদা ভিত্তিক সরকারি বিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প’(১ম পর্যায়) এর তালিকায় খাটিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পাঠিয়েছি। আশা করছি শীঘ্রই এ বিদ্যালয় নতুন একটি ভবন পাবেন।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ