ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি, সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ

প্রকাশনার সময়: ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:১৫

ছাড়পত্র পাচ্ছে না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় একমাস ধরে ডাস্টগুলো পড়ে আছে আখাউড়া স্থলবন্দরে।

এ ঘটনায় কাস্টমসের গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও এগুলোকে ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন এতে করে প্রতিদিন তাদেরকে লোকসান গুণতে হচ্ছে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন।

গত ১৩ নভেম্বর আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ন পাথর আমদানি করা হয়। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন চূর্ণ পাথর আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থল বন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে।

আমদানিকৃত চূর্ণ পাথরগুলো প্রতিটন আমদানি করা হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাধে বিপত্তি।

প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।

অভিযোগ রয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে এগুলো ডাস্ট হিসেবে রিপোর্ট দেয় তদন্ত কমিটি। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।

এ দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়।

খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরনের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।

এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ