শীতের পোশাক কেনার জন্য তাড়াশে ফুটপাত ও বিপণিবিতানে ভিড় বাড়ছে। তবে ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের কাছেই বেশি যাচ্ছেন ক্রেতারা। নিম্নবিত্তের পরিবারের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদেরও দেখা যাচ্ছে ফুটপাতে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, তাড়াশের বিভিন্ন হাট-বাজারে শীতবস্ত্রের বেচাকেনার হিড়িক পড়েছে দোকানগুলোতে। শীতবস্ত্র নিয়ে হাট-বাজারের ফুটপাতে থাকা দোকানিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দাম কম হওয়াতে আগ্রহ নিয়ে আসছেন নিম্ন শ্রেণির নারী ক্রেতারাও। পছন্দ মতো কিনে নিচ্ছেন শীতের পোশাকটি।
শাহাদৎ হোসেন জানান, শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সকাল থেকে বিকেল এমনকি রাত পর্যন্ত এলাকার ফুটপাতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষের ব্যাপক ভিড়। ফসলি মাঠের কৃষি শ্রমিক, নিম্নআয়ের লোকজন এ সব দোকানের প্রধান ক্রেতা।
তাড়াশ পৌর সদর এলাকায় সর্বত্রই দেখা যায়, ফুটপাতের দোকানিরা ১০০শ টাকা ও ২৫০ টাকা বলে ডাক হাঁকছে। গ্রাহক আকৃষ্ট করতে দোকানে বাজছে গান-বাজনা। আর এভাবে মুখরিত হচ্ছে তাড়াশ এলাকার ফুটপাতগুলো। সন্ধার পরে এই সব দোকানের ক্রেতা বাড়তে থাকে। উলের টুপি, হাত মোজা, পায়ের মোজা, মাফলার, সোয়েটার, জ্যাকেট, কানটুপিসহ বাচ্চাদের নানা ধরনের শীতের কাপড় এবং লেপের কভার ও কম্বল এর দোকানে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়াও পুরানো কোর্টের দোকানেও রয়েছে প্রচুর ভিড়।
সঞ্জয় কর্মকার জানান, মূলত ফুটপাথের এ সব দোকানের গাট্টির মধ্যে অনেক সময় ভালো মানের পোশাকও বের হয়। যা কেউ দেখা মাত্রই মুহুর্তেই বিক্রি হয়ে যায়।
ফুটপাতের দোকানদার করিম উদ্দিন জানান, শীত যতো বাড়বে বেচা-কেনা ততই বাড়বে। গত কয়েকদিন বেচাকেনা ভালোই ছিল। এখন বিক্রি একটু কম হলেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবারও বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছি।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ