পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মহিষকাটা এলাকায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতার যোগসাজশে গড়ে উঠেছে অবৈধ পশুর হাট। ফলে, প্রতিবছর বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
এলাকাবাসীর দাবি, মহাসড়কের পাশে কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের বাজারের মধ্যেই প্রতি সপ্তাহে একবার এমন পশুর হাট বসানোয় দূষণ হচ্ছে পরিবেশ। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরছে ওই এলাকার হাজারও মানুষ। এভাবে অবৈধ পশুর হাট গড়ে তুলে বছরের পর বছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না স্থানীয় প্রশাসন।
জানা যায়, ৪ বছর ধরে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের মহিষকাটা এলাকায় ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জলিল বেপারী ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সুমন সিকদার দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছেন ওই পশুর হাট। হাট থেকে রিসিট দিয়ে উত্তোলন করা টাকা সরকারের রাজস্ব খাতে জমা না হলেও, পশু কেনা বেচায় প্রতি লাখে হাজার টাকা চাঁদা তোলেন ওই দুই নেতা। এভাবে বছরে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। ফলে, প্রতিবছর বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায়ে হচ্ছে শুভঙ্করের ফাঁকি।
পশুর হাটে আসা একাধিক ক্রেতা-বিক্রেতা ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পশুর হাটটি গড়ে ওঠায় যতটা উপকার হয়েছে তার চেয়ে ক্ষতি হয়েছে বেশি। এক দিকে ফাঁকি দেয়া হচ্ছে রাজস্ব, অপরদিকে পরিবেশের ওপর পড়ছে চরম প্রভাব।
এছাড়া বাজারে স্থাপিত সরকারি টলঘর পশুর হাটের কাজে দখল করায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বেচা-কেনায়ও বিরুপ প্রভাব পড়ছে বলে জানান ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা।
অবৈধভাবে পশুর হাট স্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা জলিল বেপারী বলেন, ‘এই হাটে সরকারি ইজারা না থাকলেও আমরা ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে প্রশাসন ম্যানেজ করে চালাচ্ছি। ইউএনও স্যার অবগত আছেন, তাকে যুবলীগ নেতা সুমন ম্যানেজ করেছেন।’
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক একাধিকবার ওই পশুর হাটটি ভেঙ্গে দিয়েছি। পরবর্তিতে রাজস্বের আওতায় ওই হাটটি অন্তর্ভুক্ত করবো।’
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে বলেন।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ