ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

অবহেলায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : মেয়র আতিক

প্রকাশনার সময়: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:০২

পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশক নিধন কার্যক্রমে কর্মীদের অবহেলা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের হল রুমে শুষ্ক মৌসুমে মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেঃ জেনাঃ মোঃ জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক। সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীগণ, অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলীগণ, ঊর্ধ্বতন কটি নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, পরিছন্ন কর্মকর্তা, পরিছন্ন পরিদর্শক ও মশক সুপারভাইজারগণ।

সমন্বয় সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় মশার বর্তমান পরিস্থিতি এবং মশা নিধনে করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় ডিএনসিসি মেয়র আগামী বুধবার হতে ১৫ দিনের জন্য পাঁচটি ওয়ার্ডে (ওয়ার্ড নং ০১, ১৭, ৪৯, ৫০ ও ৫২) মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সব বিভাগের সমন্বিত ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনার নির্দেশ দেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশক নিধন কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও তৎপর হতে হবে। বিশেষ করে পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের প্রতিটি এলাকা পরিদর্শন করে কোন কোন ড্রেনে ময়লা বেশি সেটার তালিকা তৈরি করতে হবে। কোন কোন ড্রেনে ও নালায় কচুরিপানা ও অন্যান্য ময়লা বেশি সেগুলো চিহ্নিত করে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। মাঠে কাজের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশক নিধন কার্যক্রমে কর্মীদের অবহেলা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দশটি অঞ্চলে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে কাউন্সিলরদের অন্তর্ভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে একটি সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা কমিটি গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ৫টি ওয়ার্ডে প্রাথমিকভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে পুরো এলাকায় এই সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

ডিএনসিসি মেয়র নির্দেশনা প্রদান করে বলেন, ‘বর্জ্য বিভাগ প্রতিটি এলাকার ড্রেন, খাল, নালা ও জলাশয় নিয়মিত পরিষ্কার করবে এবং তাদের সাথে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কোন খাল, নালা ও জলাশয়ে কচুরিপানা জমতে দেয়া যাবে না। প্রতিদিন পরিষ্কার করে ছবি তুলে সেগুলোর প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।’

এছাড়াও ডিএনসিসির আওতাধীন এলকায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ডোবা ও জলাশয়ের মালিকগণকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পত্র প্রদান করার নির্দেশ দেন ডিএনসিসি মেয়র।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ